আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫

| আপডেট :  ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৩  | প্রকাশিত :  ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৩

মোঃ আশিকুর রহমান আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি (হবিগঞ্জ): আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের দু’গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ২ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে গতকাল বুধবার দুপুর অনুমানিক ২ টায় ছাত্রলীগ কমিটিতে যোগদান করানোকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে কাকাইলছেওয়ের ও সুনামগঞ্জের শাল্লার দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাক-বিতন্ডা বাঁধে। একই সময় ওই দু’শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়ে আরও কতিপয় শিক্ষার্থী যোগ দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

একই সময় ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হিমেল সংঘর্ষ থামাতে এলে তাকে মারধোর করে প্রতিপক্ষের শিক্ষার্থীরা। এর পূর্বে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইমন মিয়া কিছুদিন আগে ১ম বর্ষে ভর্তি হওয়া কতিপয় শিক্ষার্থীদের নিজের দলে যোগদানের ব্যাপারে প্রস্তাব দেয়। ওই শিক্ষার্থীরা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

এ নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুর ২ টায় কলেজ শিক্ষার্থী অপরন্ত মিয়ার সহিত ছাত্রলীগ সভাপতি ইমন মিয়ার সহিত বাক-বিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

এরা হল, রাব্বি মিয়া, অপরন্ত মিয়া ও হিমেল মিয়া। খবর পেয়ে, থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমেদ কলেজে ছুঁটে যান। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে, উক্ত সংঘর্ষের সময় বাজারের কামাল মিয়ার পুত্র সৌরভ মিয়া সংঘর্ষ থামাতে আসলে তাকেও নাজেহাল করা হয়। এ নিয়ে পৌর সভাধীন নগর গ্রামের বাসিন্দা অপর এক কলেজ শিক্ষার্থীর সহিত সন্ধ্যা অনুমানিক ৭ টায় সৌরভ মিয়ার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে একই দিন রাত প্রায় ৮ ঘটিকায় টানবাজারের চপলা রায়ের দোকানের সামনে উভয়পক্ষের শিক্ষার্থী সহ স্বজনরা অনুমানিক প্রায় শতাধিক লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। লোকজনের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। উভয়পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনা ঘটে। এ সময় দু’পক্ষের মাঝে ইট পাটকেল ছুঁড়াছুঁড়ি হয়। খবর পেয়ে, পুলিশ ঘটনাস্হলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী চাঁদ মিয়াকে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, সেখানে আবারও তাকে মারধোর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পর তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজমিরীগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও সংঘর্ষের আশংখায় রয়েছে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত