৪ কারণে বেড়েছে রডের দর

| আপডেট :  ২০ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৬  | প্রকাশিত :  ২০ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৬

গ্যাস, বিদ্যুতের অতিরিক্ত দাম, ডলার সংকট এবং ব্যাংক ঋণের চাপে বিপাকে স্টিল উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ)।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারমূল্যের অসঙ্গতিতে ব্যবসা কমেছে বহু উদ্যেক্তার। ডলার সংকট কাটাতে নানা মহলে যোগাযোগ করেও কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় প্রণোদনা নয়, বরং ঋণের মেয়াদ বাড়াতে হবে।

বিএসএমএ সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ইস্পাত উৎপাদনে খরচ বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। পাশাপাশি গ্যাসের দরও বেড়েছে। ফলে প্রতি টন রডে ২ হাজার টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, ইস্পাত খাতের কাঁচামাল, রাসায়নিক ও যন্ত্রাংশের ৮৫ শতাংশই আমদানিনির্ভর। এই অবস্থায় আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিও স্টিল খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতা কমে এই খাতের শিল্পগুলো রুগ্ণ হয়ে বন্ধের উপক্রম হয়েছে। স্টিল খাতে বিনিয়োগ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা। অথচ বাৎসরিক টার্নওভার ৭০ হাজার কোটি টাকা। যত দ্রুত সম্ভব এই খাতের উন্নয়নের যুগোপযোগী ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, কেবল বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর। স্টিল খাত রক্ষায় সরকারের সমন্বিত নীতি প্রয়োজন। আর এই খাত অস্তিত্ব সংকটে পড়লে দেশের আবাসনসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হুমকিতে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, আগে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। সেসময় টনপ্রতি রডের মূল্য ছিল ৯২ থেকে ৯৩ হাজার টাকা। এখন ডলারের দর ১২০ থেকে ১২৭ টাকা। ফলে রডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৭ হাজার টাকায়। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। সেজন্য উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে রড বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত