ইরানে যেভাবে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

| আপডেট :  ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩  | প্রকাশিত :  ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩

ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইসফাহান প্রদেশে তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করে। তেহেরান এ ঘটনা তদন্তের ফলাফল এখনও ঘোষণা করেনি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। তবে ইসরায়েল এ হামলা নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করেনি।

ইরানে ইসরায়েলের হামলা চালানোর পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরানি কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এ হামলার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দায়ী করে। পরবর্তী কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইরান নিজ ভূখণ্ড থেকে সরাসরি ইসরায়েলের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ ঘটনার পর ইসরায়েলও ইরানে পাল্টা হামলার হুমকি দেয়।

কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। তবে এ ধরনের হামলা খুবই সীমিত আকারে হবে। কিন্তু ইরানে ইসরায়েল একটি উচ্চমূল্যের হামলা চালাতে চায়। এ হামলা এমনভাবে চালাতে চায় যেন ইরান পাল্টা হামলা না করতে পারে অথবা এ হামলার ফলে উভয় দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু না হয়।

ইসরায়েল থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে ইরানের পরমাণু কেন্দ্র এবং সামরিক স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া দুই দেশই নিকটতম বিন্দু থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

এক্ষেত্রে ইরানে ভয়াবহ হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েল এফ-১৫আই র‌্যাম এবং এফ-৩৫আই আডির জেট বিমান ব্যবহার করতে পারে। এই দুই বিমান দিয়ে দূরপাল্লার হামলা চালানো সম্ভব।

এটা অপ্রত্যাশিত যে ইরানে হামলা চালানোর জন্য সৌদি আরব কিংবা জর্ডান তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে ইসরায়েল অনুমতি দিবে। কারণ এ অনুমতির ফলে এ অঞ্চলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর সেই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

এছাড়া লোহিত সাগরের কাছ থেকে ইয়েমেন এবং ওমানের ওপর দিয়ে ইরানের উপকূলীয় অঞ্চল হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলের জেট বিমান। এক্ষেত্রে পাড়ি দিতে হবে ৪ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ।

ইসরায়েল যদি ইরানে সংক্ষিপ্ত রুটে হামলা চালাতে চায় তাহলে সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে। এক্ষেত্রে ইসরায়েলেকে সাইবার হামলা চালিয়ে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিতে হবে। যেমনটা ২০০৭ সাল করা হয়েছিল।

সাবমেরিন হামলা

ইসরায়েলের হাতে রয়েছে পাঁচটি ডলফিন শ্রেণির সাবমেরিন, আরও রয়েছে জার্মানির ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন। এসব সাবমেরিন দিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে হামলা চালানো খুবই সহজ।

এছাড়া ইসরায়েলের কাছে আরও দুটি উন্নত প্রযুক্তির সাবমেরিন রয়েছে। এগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর জন্য সপ্তাহব্যাপী পানির নিচে অবস্থান করতে পারে।

সূত্র: আল জাজিরা

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত