আজারবাইজানের সেই এলাকা ঘুরে এলেন এরদোগান

আজারবাইজানের শুশা শহরে ভ্রমণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। মঙ্গলবার তিনি নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুশায় ভ্রমণ করেন। গতবছরের নভেম্বর মাসে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে আজারবাইজান শুশা শহরটি পুনরর্দখল করে। শহরটি সংস্কৃতি ও কৌশলগত দিক দিয়ে উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।নাগোর্নো-কারাবাখের সবচেয়ে বড় শহর স্টেপানাকের্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত শুশা।
গত বছর আজারবাইজান বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ৪৩ দিন যুদ্ধে শেষে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। চুক্তির অংশ হিসেবে আর্মেনিয়া শুশা শহরকে আজারবাইজানের কাছে তুলে দেয়।
নাগোর্নো কারাবাখ শহরটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবেই বিবেচিত হলেও অঞ্চলটিতে আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীরা বসবাস করে। গত বছরের নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সমর্থন এবং অত্যাধুনিক তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করে আজেরি সেনারা যুদ্ধে ব্যাপক সফলতা পায়।
এরদোগানের শুশা শহর ভ্রমণের বিষয়ে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী এক জমকালো অনুষ্ঠানে শুশা শহরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে স্বাগত জানান। শুশার প্রধান স্কয়ার ফুল এবং তুরস্ক- আজারবাইজানের পতাকা দ্বারা সাজানো ছিল।
আজারবাইজানের এক সিনিয়র কূটনৈতিক এএফপিকে বলেন, আগামীকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান আজারবাইজানের সংসদে ভাষণ দেবেন। এরপর তিনি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে তুরস্ক এবং ওয়েলসের মধ্যকার ইইরো ২০২০ সালের ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করবেন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর তুরস্ক আজারবাইজানকে অস্ত্র এবং সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করেছে। গত বছর আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সময় তুরস্ক আজারবাইজানকে বিদেশি সেনা দিয়েও সহায়তা করে বলে খবর প্রকাশ হয়। যদিও তুরস্ক এটি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আজারবাইজানের বিজয়ের ফলে ককেশাস অঞ্চলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। এই বিজয়কে তারা এরদোগানের ভূ-রাজনৈতিক অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত