পরীমনির বিরুদ্ধে ভাঙচুর: কমিউনিটি ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন

| আপডেট :  ১৬ জুন ২০২১, ১১:২৫  | প্রকাশিত :  ১৬ জুন ২০২১, ১১:২৫

পরীমনির বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলো তুলে ধরেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল। এম আলমগীর ইকবাল বলন, আমাদের ক্লাবে গত ৮ জুন ছোট্ট একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল। ক্লাব বন্ধের সময় হয়ে এসেছিল। তখন কয়েকজন লোক এসেছিলো ক্লাবে প্রবেশের জন্য। গেটে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডরা ফোন করে জানায়, তারা কিছুক্ষণ আগে একবার এসেছিলেন। তখন তারা ফোন ও কিছু কাগজ রেখে গেছেন। সেগুলো নেওয়ার জন্য তারা আবার এসেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের ক্লাবের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন আছে। ক্লাবে প্রবেশের ড্রেস কোড রয়েছে। সেদিন এখানে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হাফপ্যান্ট এবং স্যান্ডেল পরা। দুজন মেয়ে ছিলেন। তখন আমাদের ফুড অ্যাডভাইজার দেখে বলেন, আপনারা তো ক্লাবের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তাদেরকে ক্লাব থেকে এটা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এই সময়ে তারা যে সদস্যের মাধ্যমে ক্লাবে আসেন তিনিও তাদেরকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা যেতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে আমাদের সেই সদস্য চলে যান। এর মধ্যে আমাদের ক্লাবের সব কর্মকর্তা চলে যান। শুধু দুজন ওয়েটার ছিলেন। এরই মধ্যে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এলে তারা ক্লাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে হেনস্তার অভিযোগ করেন। কিন্তু বাস্তবে তখন আমাদের তেমন কেউ ছিল না। ঘটনার সময় তখন রাত ১টা থেকে দেড়টা বাজে। ওই সময় তাদের একজন ক্লাবের ১৫টি গ্লাস, নয়টি এসট্রে, বেশ কিছু হাফ প্লেট ভাংচুর করেন।

তিসি আরো বলেন, পরে আমরা জানতে পারি, তার নাম পরীমনি। পুলিশ এসেও এর সত্যতা পায়। পরে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতনদের জানায়। তারা ওই পুলিশ সদস্যদের চলে যেতে বলেন। আলমগীর ইকবাল বলেন, ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী যে সদস্যের মাধ্যমে তারা এসেছিলেন, আমরা তাকে শোকজ করেছি।

পরে আমরা জানতে পারি, তার নাম পরীমনি। পুলিশ এসেও এর সত্যতা পায়। পরে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতনদের জানায়। তারা ওই পুলিশ সদস্যদের চলে যেতে বলেন। আলমগীর ইকবাল বলেন, ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী যে সদস্যের মাধ্যমে তারা এসেছিলেন, আমরা তাকে শোকজ করেছি। তার বিরুদ্ধে ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি চলমান রয়েছে।

ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির বিধান কী রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রথমে শোকজ করা হয়। অপরাধের ওপর নির্ভর করে সদস্যপদ তিন মাস, চার মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। আর অপরাধ বড় হলে সদস্যপদ স্থগিত করার নিয়ম রয়েছে।

এই ঘটনায় থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। যারা এসেছেন, তারা ক্লাবের অতিথি। ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী কোনো অতিথির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় না। তবে ক্লাবের কোনো সদস্যের মাধ্যমে এসে কোনো অতিথি যদি বিশৃঙ্খলা করেন, তবে ওই সদস্যে বিরুদ্ধে নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এদিকে এই ঘটনায় গুলশান থানায় কোনো জিডি বা অভিযোগ করা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলন, গুলশানের ক্লাবটিতে ভাংচুরের ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি করেনি। ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ থেকে থানায় কল আসে পরীমনির সঙ্গে ক্লাবটিতে কাদের কি ঝামেলা হচ্ছে। পরে সেখানে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পরীমনিসহ সবাই সেখান থেকে যার যার মতো চলে যায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো ঘটনার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করা হয়। এটা আমরাই করে থাকি। তবে ওই ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো জিডি করা হয়নি।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত