বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিদের মধ্যে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। মসজিদের আগের খতিব রুহুল আমিন এবং বর্তমান খতিবদের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ র্যাব এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সাবেক ইমাম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে কিছু মাদরাসার শিক্ষার্থী ও কয়েকজন ব্যক্তি বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর মিম্বারের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করা মুসল্লি ও খাদেমদের ওপর হামলা চালান। এতে ৫০ এর অধিক আহত হয়। ঘটনার পর মসজিদ জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লি হামিদ বলেন, মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে এমন হামলা ঘটনা ন্যক্কারজনক। সাবেক ইমাম যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বসে সমস্যা সমাধান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালান, যা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ।
এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান খতিব শুক্রবার জুমার নামাজের বয়ান করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে আগের ক্ষতি রুহুল আমিন মসজিদে প্রবেশ করে তার মাইক কেড়ে নেন। এমন ঘটনায় উপস্থিত মুসল্লিরা হতবিহবল হয়ে যান। পরে তারা এর প্রতিবাদ জানালে রুহুল আমিন সমর্থকদের সাথে উপস্থিত মুসল্লিদের সংঘর্ষ বাধে। একে অপরকে জুতা, জুতা রাখার র্যাক ছুঁড়তে থাকেন। মসজিদের ভেতর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। এসময় খতিব বয়ান থামিয়ে দেন। পরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সদস্যরা ছুটে আসেন। পরে সেনাবাহিনী নিরাপত্তায় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তবে নামাজ শেষে মুসল্লিদের চলে যেতে বলা হলেও তারা আবারও রুহুল আমিন সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে দায়িত্বশীল পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ছোট একটা ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা কাজ করছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট ও পল্টন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি ও থানার ওসিকে কল করা হলেও তাদের কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত