বাসে দাঁড়িয়ে থেকেও গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া

| আপডেট :  ১৭ জুন ২০২১, ০৫:১৬  | প্রকাশিত :  ১৭ জুন ২০২১, ০৫:১৬

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ আরো একমাস বাড়ানো হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে অধিকাংশ গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে, চলছে চরম নৈরাজ্য। দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীকেও গুণতে হচ্ছে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া। এছাড়া অফিস সময়ে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

গণপরিবহনের যাত্রীদের অভিযোগ সরকারের বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে লাভবান হচ্ছে মালিক-শ্রমিকরা। আর মালিকদের দাবি, নিয়ম মানছেন না যাত্রীরাই। যাত্রীরা বলছে, কোনো ধরণের পরিকল্পনা ছাড়াই অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ছাড়া স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না। এতে পকেট ভারী হচ্ছে মালিক-শ্রমিকদের। এছাড়াও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে ভোগান্তি কমানোর দাবি করছে যাত্রীরা।

নিয়ম অমান্যের বিষয়টি অস্বীকার করছেন না বাস মালিক সমিতির নেতারাও। তাদের দাবি অফিস সময়ে যাত্রীর চাপ থাকায় কিছুই করার থাকে না তাদের। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, যত সিট তত যাত্রী নেয়ার নিয়ম পুনরায় বহাল করে দিলে আবারও আগের ভাড়ায় বাস চালাবে। বাড়তি যাত্রী নিলেও কেন দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নে মালিক সমিতির নেতাদের সোজাসাপটা উত্তর, দুই নিয়মের সুযোগ নেই।

এর আগে চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত