কঠোর লকডাউন ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের লঞ্চ চলাচল বন্ধ

| আপডেট :  ২২ জুন ২০২১, ১২:৪২  | প্রকাশিত :  ২২ জুন ২০২১, ১২:৪২

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশের সাত জেলায় কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল ৬ টা থেকে এই কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হবে। লকডাউনের সময় ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সোমবার (২১ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে লকডাউনের সময় পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক। আজ সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে নদীতে ফেরি চলাচল সচল থাকবে। নৌরুটের দুটি ঘাটের একটি মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজারে অবস্থিত। এ দুটি জেলাই লকডাউনের আওতায় রয়েছে।

এর আগে আজ সোমবার (২১ জুন) করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশের সাত জেলায় কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। আগামীকাল (২২ জুন) সকাল ৬ টা থেকে এই কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হবে। আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। লকডাউন চলাকালে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন (বুধবার) রাত ১২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। লকডাউন চলাকালে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে।

বিধিনিষেধের সময় এই সাত জেলায় কী কী বন্ধ থাকবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সবকিছু বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। সাত জেলায় সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলেই তো দিয়েছি সব বন্ধ, শুধু কয়েকটা সার্ভিস ছাড়া। জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লকডাউন চলাকালে সার্বিক কার্যাবলি চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ে শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

করোনা পরিস্থিতি বিস্তাররোধে দেশে চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়ে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। গত ১৬ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ বিধি-নিষেধ কার্যকর করা হয়। এছাড়াও করোনার সংক্রমণ রোধে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। যাদের মধ্যে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় লকডাউন আগে থেকেই চলছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত