পরীমণির মামলায় নাসির ও অমি এখন যে থানায় আছেন
চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে সাভার মডেল থানায় আনা হয়েছে। আদালত থেকে বুধবার (২৩ জুন) রাত পৌনে ৯টায় প্রিজন ভ্যানে করে তাদের সাভার মডেল থানায় আনা হয়। এর আগে বিকেলে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাভার মডেল থানায় পরীমণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পরেই ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বুধবার তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। শুনানি শেষে আসামিদের থানায় আনা হয়েছে। এর আগে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
উল্লেখ্য, পরীমণির দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
গত ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ১৪ জুন পরীমণি বাদী হয়ে সাভার থানায় দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো চারজনকে আসামি করেন। মামলায় ছয় আসামির মধ্যে নাসির উদ্দিন মাহমুদকে প্রধান ও অমির নাম দ্বিতীয় নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি চার আসামি অজ্ঞাত।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত