ইমাম ওলামা পরিষদের উদ্যোগে করোনায় মৃত ৭০ লাশ দাফন, প্রসংশায় মুখরিত সংগঠনটি

গাজী সুফিয়ান, খুলনা থেকে: ২০২০-২০২১ এ প্রলয়ঙ্কারী মহামারীর নাম করোনা ঘাতক মহামারীটি কেঁড়ে নিয়েছে লক্ষ -লক্ষ প্রাণ আক্রান্ত করেছে কয়েক কোটি মানুষকে। ভাইরাসটি গত বছর চিনের উহান থেকে শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে গত বছর থেকে ভাইরাসটির দাপট শুরু হয়ে আজও প্রবাহমান। আতঙ্কের আর একটি নাম করোনা ভাইরাস। কারোর শরীরে ভাইরাসটি সনাক্ত হলে যেন সে বড্ড অসহায় ও জনবিচ্ছিন্ন একটি প্রাণ। আক্রান্ত রোগীটি যেন জীবিত একটি লাশ! দূরে সরে যায় আত্নীয় স্বজন, বন্ধু -বান্ধব সবাই। মৃত ব্যাক্তির দাফনকাজের জন্য ভয়ে সম্মত হতে চায় না স্বজনরা। ঠিক সেই সময় খুলনার ডুমুরিয়ার শরাফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান গঠন করেন করোনার লাশ দাফন- কাফন ব্যবস্থাপনা র একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির নামকরণ করা হয় ‘ইমাম-ওলামা পরিষদ’ দক্ষিণ ডুমুরিয়া, খুলনা।
১৪ জন নারী-পুরুষের সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে আজকে পর্যন্ত ২৫ জন নারী-পুরুষ সদস্য কাজ করে চলেছেন। সংগঠনটির কার্যক্রম এখন খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পরিব্যাপ্ত।
সংগঠনটির সমন্বয়কারী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সরকারি -বেসরকারি কোন সহযোগিতা ছাড়াই প্রায় এক বছর ধরে চলছে আমাদের কার্যক্রম। যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র থ্রি হুইলার মাহিন্দ্র। নাই মৃতদেহ গোসলের নির্দিষ্ট নিরাপদ কোন জায়গা। এমনকি বিভাগের বিভিন্ন জেলায় লাশ দাফন করতে গেলে মাঝেমধ্যে হতে হয় বাঁধার সম্মুখীন। এতটুকু একটি সংগঠনের পক্ষে বৃহৎ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় লাশ দাফনের বড় কাজ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবুও থেমে নাই আমরা।
সংগঠনটির সমন্বয়কারী আরও বলেন, আমরা খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছি ও বারবার অনুরোধ করেছি খুলনাতে মৃতদের জন্য একটি অস্থায়ী নিরাপদ গোসলের জায়গা তৈরি করে দিতে। কিন্তু কোন সমাধান মেলেনি। আমি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কে বলতে চাই করোনায় মৃতদের জন্য একটি নিরাপদ গোসলখানা ও আমাদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য একটি জানবাহনের ব্যবস্থা করতে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত