১ কোটি ২০ লাখ পশু প্রস্তুত, ভারতীয় গরু প্রবেশ রোধে বিজিবি

গত বছরের তুলনায় এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানির জন্য লালন-পালন করা পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫শটি। এবার ঈদুল আজহায় মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ, ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া, ৪ হাজার ৭৬৫টি অন্য প্রজাতিসহ (উট, দুম্বা) সর্বমোট প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি গবাদি পশু প্রস্তুত আছে।
রোববার (২৭ জুন) নগরীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আসন্ন ঈদুল আজহা-২০২১ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দেশে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে। করোনা সংকটের মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে যেন কোনো কোরবানির পশু প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য সীমান্ত সিলগালা করা হবে। দেশের বাইরে থেকে গবাদিপশু আসা বন্ধের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বিজিবি ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা সীমান্তবর্তী জেলায় অবৈধ বা বৈধপথে গবাদিপশু আসা বন্ধ করা হবে।
কোরবানির ঈদের এক মাস আগে থেকে কোরবানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সময়ে সীমান্তপথে দেশের বাইরে থেকে গবাদি পশু আসতে দেওয়া হবে না। গবাদিপশু প্রবেশ রোধে বিজিবিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে জননিরাপত্তা বিভাগকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশে কোরবানিযোগ্য পর্যাপ্ত পশু মজুদ আছে। এবারের কোরবানির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। করোনা ভাইরাস দেশে বাড়ছে। নানা বিষয়কে সামনে নিয়ে বাইরের দেশ থেকে কোরবানির পশু ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর জন্য যা কিছু করার তাই করবো। কোরবানির আগে ও পরে সীমান্ত সিলগালা করা হবে। প্রয়োজনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। তিনি আরো বলেন, কোরবানির গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজি কঠোর হাতে দমন করা হবে। কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করা হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত