পথে পথে চরম ভোগান্তি

| আপডেট :  ২৮ জুন ২০২১, ০৬:৪৪  | প্রকাশিত :  ২৮ জুন ২০২১, ০৬:৪৪

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ সোমবার (২৮ জুন) থেকে দেশজুড়ে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। বাস্তবায়নের জন্য গণপরিবহন চলাচল একেবারেই বন্ধ রাখা হয়েছে। যে রিকশাগুলো চলছে সেগুলোর ভাড়াও বেশি। রেগুলার ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৮ টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মানুষের ভোগান্তির এমন চিত্র দেখা গেছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আল আমিন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, ‘সড়কে গাড়ি নেই, সিএনজি ভাড়াও বেশি। কি করবো আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের মরণ ছাড়া উপায় নাই।’

রাজধানীর নিউমার্কেট যাবেন আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, লকডাউনে শুধু সমস্যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। যাদের গাড়ি আছে তারাতে ঠিকই চলছে। এখন জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে তিন চার গুন ভাড়া দিতে হচ্ছে। এর থেকে ভোগান্তি কষ্ট আর কিছু হতে পারে না।

এসময় দেখা যায় মোটরসাইকেল করে দুজন করে যাত্রী নেয়া হচ্ছে। তাও ভাড়া কয়েকগুণ গুনতে হচ্ছে। সিএনজিতেও দেখা যায় পাঁচ থেকে ছয়জন করে যাত্রী নিচ্ছি। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

গন্তব্যে পৌঁছাতে যে যেভাবে পারছেন সে ভাবেই যাচ্ছেন। কেউ হেঁটে, কেউ রিক্সায়, সিএনজি, মোটরসাইকেল কেউবা আবার ভ্যানে করে।

সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন শেষ হবে ১ জুলাই সকাল ৬টায়। এরপর কঠোর লকডাউনে যাবে গোটা দেশ।
সেই দিন থেকে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। রোববার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিক্সা ব্যতীত সকল গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সকল শপিংমল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

সরকারি-বেসরকারি অফিস প্রতিষ্ঠানসমূহে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে। জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গেল বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে তা আবারও বাড়তে শুরু করে। এপ্রিলে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। মে’র মাঝামাঝির পর থেকে আবারও কমতে থাকে।

তবে হঠাৎ করেই করোনার ‘নতুন ভ্যারিয়েন্ট’ ভীতি তৈরি করেছে। এরইমধ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যু এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে আবারও কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত