1.  প্রচ্ছদ
2.  স্পোর্টস
3.   প্লে অফে যেতে হলে মুস্তাফিজকে মিলাতে হবে ২টি সমীকরণ

আবারও মাঠে গড়িয়েছে স্হগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল। বদলি হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এরইমধ্যে খেলেছেন একটি ম্যাচ৷ তাকে দলে ভেড়ানো দিল্লীরও প্লে-অফের সম্ভাবনা রয়েছে ভালো ভাবেই।

আগে থেকেই বেশ জমজমাট অবস্থায় ছিল আইপিএলের পয়েন্ট টেবিল। গতকাল মুস্তাফিজের খেলা প্রথম ম্যাচে গুজরাটের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে তার দল। উইকেটশূন্য থাকলেও মিতব্যয়ী বোলিং করেন এই পেসার। এই জয়ে গুজরাট টাইটান্সের পাশাপাশি প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে পাঞ্জাব কিংস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ফলে প্লে-অফের জায়গা বাকি আছে আর একটি৷ অন্যদিকে এরইমধ্যে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।

প্লে-অফের বাকি একটি জায়গার জন্য লড়াইয়ে আছে দিল্লী ক্যাপিটালস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। তিন দলের প্লে-অফের সমীকরণ দেখে নেওয়া যাক :

দিল্লী ক্যাপিটালস :

রেকর্ডমূল্যে মুস্তাফিজকে দলে ভিড়িয়েছে টাইগার পেসারের সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বিসিবি থেকে তিন ম্যাচের অনাপত্তিপত্রও পেয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্ট রয়েছে তাদের। এক্ষেত্রে বাকি দুই ম্যাচ ২১ মে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ও ২৪ মে পাঞ্জাবের বিপক্ষে। যদি দুই ম্যাচেই জেতে, তাহলে মুম্বাইকে টপকে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্লে–অফ নিশ্চিত মুস্তাফিজদের। আর যদি একটিতে জেতে, তাহলে পড়তে হবে সমীকরণের মারপ্যাঁচে।

একটি ম্যাচ জিতলে জয়টি হতে হবে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। দিল্লী যদি মুম্বাইয়ের কাছে হারে, তাহলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত তাদের। আর যদি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয়ের পর পাঞ্জাবের কাছে হারে, তাহলে অন্য দলের ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের চাওয়া হবে মুম্বাই যেন পাঞ্জাবের কাছে হারে এবং লক্ষ্ণৌ যেন তাদের তিন ম্যাচের অন্তত একটিতে হলেও হারে। তখন পয়েন্ট তালিকায় অবস্থা দাঁড়াবে—দিল্লি ১৫ পয়েন্ট, মুম্বাই ১৪ পয়েন্ট, লক্ষ্ণৌ ১৪ পয়েন্ট।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স :

এবারের আসরে এখন পর্যন্ত খেলা ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাইয়ের বাকি দুই ম্যাচ ২১ মে দিল্লীর বিপক্ষে ও ২৬ মে পাঞ্জাবের বিপক্ষে। হার্দিক পান্ডিয়া, রোহিত শর্মা, জাসপ্রিত বুমরাহদের দল যদি দুই ম্যাচই জেতে, তাহলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত হবে। এছাড়াও পরের ম্যাচে যদি দিল্লীকে হারাতে পারে, তাহলেও প্লে-অফ অনেকটাই নিশ্চিত।

আর মুম্বাই যদি দিল্লীর কাছে হেরে পরের ম্যাচে যদি পাঞ্জাবের বিপক্ষে জেতে, তাহলে শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে দিল্লীর হার কামনা করতে হবে। আর মুম্বাই যদি দুইটি ম্যাচেই হারে, তাহলে বাদ পড়বে।

অবশ্য মুম্বাই এক ম্যাচ জিতে পয়েন্ট ১৬ করলে সমান পয়েন্টে পৌঁছে এগিয়ে থাকার সুযোগ থাকবে লক্ষ্ণৌরও। সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের নেট রান রেট ‍+১.১৫৬, লক্ষ্ণৌর –০.৪৬৯। রান রেটে বেশ পেছনে থাকলেও লক্ষ্ণৌর সুবিধা অন্যদের তুলনায় তাদের শেষ ম্যাচ পরে। কী করতে হবে, সেই হিসাব সামনে থাকবে।

সবমিলিয়ে প্লে-অফে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ জমজমাট এক লড়াইয়ের প্রত্যাশা করতেই পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।