জ্বর হলেই যা করতে বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

| আপডেট :  ২৯ জুন ২০২১, ০৬:৪৮  | প্রকাশিত :  ২৯ জুন ২০২১, ০৬:৪৮

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলছেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে অসচেতনতার ফলে ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। তাই কারো জ্বর হলেই তাকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে মেহেরপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন। এসময় জেলার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের সভাপতি মেহেরপুর প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনছুর আলম খান।

তিনি বলেন, মৌসুমি জ্বর মনে করে অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আবার করোনাভাইরাস হলে কী হবে না হবে এমন অসচেতনতা থেকেও অনেকে বিষয়টি লুকিয়ে রাখছেন। পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে করোনা এমনভাবে প্রভাব ফেলছে যে, তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। তাই গ্রামে গ্রামে ও পাড়ায় পাড়ায় খোঁজ নিয়ে যাদের জ্বর হচ্ছে তাদের অবশ্যই টেস্টের আওতায় আনতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে প্রচারের নির্দেশও দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী লকডাউন বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেব। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদের যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের একাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। নেতৃস্থানীয় মানুষের সহযোগিতা ছাড়া সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ফান্ড দেওয়া হয়েছে। সেটা যথাযথভাবে যাদের প্রাপ্য তাদের দিতে হবে। কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসার আগেই ত্রাণ সহযোগিতা প্রদান সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন তিনি।

মানুষকে ঘরে রাখতে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জেলার সঙ্গে যেমনি অন্য জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে তেমনি ঘর থেকে যাতে কেউ বের হতে না পরে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অযান্ত্রিক অবৈধ যানবাহন (নছিমন, করিমন, আলমসাধু ইত্যাদি), পাখিভ্যানসহ সব যানবাহন পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলার সিভিল সার্জন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোখলেছুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন ও গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী করোনাকালীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত