আফগানিস্তান থেকে জার্মান সেনাদের বিদায়
আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করেছে জার্মানি। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো গত এপ্রিলে দেশটি থেকে তাদের সাত হাজার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। তুরস্কভিত্তিক আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ২০ বছর পর মঙ্গলবার আফগানিস্তান থেকে জার্মানি শেষ সৈন্য প্রত্যাহার করেছে।
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানগ্রেট ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাউয়ার এক টুইট বার্তায় বলেন, মঙ্গলবার জার্মানির শেষ সেনা নিরাপদে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে। ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে সেবা দেওয়া দেড় লাখ ন্যাটো সেনাদের ধন্যবাদ প্রদান করে তিনি বলেন, মিশনের জন্য তারা গর্ববোধ করতে পারে।
জার্মান সেনাবাহিনীর বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এপির খবরে বলা হয়েছে, জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি হয়ে আফগানিস্তানে থাকা জার্মানির শেষ সেনারা নিজ দেশে ফিরছে। জার্মান সেনাবাহিনীর শেষ কমান্ডার জার্মানির উদ্দেশে এ৪০০এম বিমানে ছিলেন বলেও খবরে বলা হয়।
রয়টার্সের খবর অনুসারে, আফগানিস্তানে গত ২০ বছরে জার্মানির ৫৯ জন সেনা নিহত হয়েছে। দেশটিতে জার্মানির ১১’শ সেনা ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটা ছিল জার্মানির ভয়ংকরতম মিশন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি ও পেনসিলভানিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর প্রথমেই আফগানিস্তানকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন বুশ প্রশাসন ৯/১১ এর হামলায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার যোগসূত্র রয়েছে-এমন ঘোষণা দিয়ে সে সময় তালেবানদের দখলে থাকা আফগানিস্তানে আশ্রয় নেওয়া আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জো বাইডেন বলেন, আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধ বন্ধের এটাই সময়।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত