নববধূকে নিয়ে যাওয়ার পথে জরিমানা দিলেন বর
চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই বিয়ে করে নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জামাল হোসেন। পথে তল্লাশিচৌকিতে তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি আটকে দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে সিলেট নগরের শাহজালাল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বর মো. জামাল হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নারাইনপুরে। বর্তমানে তিনি নগরের ছড়ারপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। অন্যদিকে কনে বীনা বেগমের বাড়ি কুমিল্লায় হলেও বর্তমানে তাঁরা দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকায় বসবাস করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী পারিবারিকভাবে সীমিত পরিসরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। নীরবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাইক্রোবাসে করে নববধূকে নিয়ে আরও কয়েকজন আত্মীয়সহ দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা থেকে নগরের ছড়ারপাড়ে ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। তবে পথে শাহজালাল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে পুলিশের তল্লাশচৌকিতে আটকে দেওয়া হয় মাইক্রোবাস। কঠোর লকডাউন অমান্য করে মাইক্রোবাসে চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলেও বর ও সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তল্লাশচৌকি থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তল্লাশচৌকিতে কঠোর লকডাউন অমান্য করায় মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছিল। পরে বিয়ে করে ফেরার বিষয়টি জানা যায়। এ ঘটনায় আমরা বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করি। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে তাঁদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।’
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত