গলাচিপায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসেছে পশুর হাট

| আপডেট :  ০৩ জুলাই ২০২১, ১২:৫১  | প্রকাশিত :  ০৩ জুলাই ২০২১, ১২:৫১

ইমরান হোসেন,পটুয়াখালী থেকে: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী উনিয়নের নলুয়াবাগী পশুর হাট বসানো হয়েছে হয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। শুক্রবার (২ জুলাই) সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ওই হাটের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার পশুর হাটটি বন্ধ করে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও জমজমাট গোলখালী উউিনিয়নের নলুয়াবাগীর পশুর হাট। হাটের ভিতর কোথাও কোনো স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। সকাল ১০টা থেকে পশুর হাট শুরু করে সংশ্লিষ্ট হাজারাদার। বিরামহীনভাবে বিকেল নাগাদ চলছিল।

নলুয়াবাগী হাটে উপজেলার পক্ষিয়া গ্রামের পশুর পাইকারী ক্রেতা নাসির তালুকদার জানান, নলুয়াবাগী হাটে প্রতি সপ্তাহে কমক্ষে ৬০০ থেকে ৮০০ গরু বিক্রি হয়। এ হাটে সরকার নির্ধারিত ফি থেকেও ইজারাদার শাহ মেহেদী ফরহাদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

নলুয়াবাগী হাটের ক্রেতা সিয়াম জানান, আমি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। আমার কাছ থেকে ইজারাদার ৬০০ টাকা হাসিলের টাকা রেখেছে। এ ছাড়া বিক্রেতার কাঠ থেকেও ২০০ টাকা রেখেছে। এ হাটে ইজারাদারের ইচ্ছে অনুযায়ী চলে। হাসিলের কোনো রশিদের কপি দেয় না। ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো প্রতিবাদ করেও লাভ হয় না।

স্থানীয় মহিষ বিক্রেতা মো. মোশারেফ প্যাদা জানান, আজ সকাল থেকে হাট শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রশাসন এসে বন্ধ করে দেয়। এ হাটের ইজারাদার কোনো হাসিলের রশিদ দেয় না।

এ বিষয়ে জানার জন্য গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিনের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, আমরা খবর পেয়ে নলুয়াবাগী হাটে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট বন্ধ করে দিয়েছি। যারা হাট চালাচ্ছিল আমাদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত