ইউপি চেয়ারম্যানের দেহরক্ষীর পিস্তল হাতে, ছবি ভাইরাল

| আপডেট :  ০৪ জুলাই ২০২১, ১১:২৮  | প্রকাশিত :  ০৪ জুলাই ২০২১, ১১:২৮

ইমরান হোসেন,পটুয়াখালী থেকে: পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ করতে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করে বরখাস্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক মো. রুবেল হোসেনের পিস্তল হাতে একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। পিস্তলটি বৈধ নাকি অবৈধ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

রুবেল হোসেন বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভুখালি গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক শিকদারের ছেলে। কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক তিনি।

কনকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পিস্তলটি আসল নাকি নকল তা জানি না। পিস্তলসহ ছবি অনেক আগেই ভাইরাল হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচনের আগে আমি ওই ছবিটি দেখেছি। তবে তাদের কাছে যে পিস্তল আছে, সেটা চেয়ারম্যানের কাছেই বেশি সময় থাকে। ওই পিস্তল দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। ভয়ে এলাকার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

এ বিষয় মো. রুবেল বলেন, ‘এটা খেলনা পিস্তল। কীভাবে ফেসবুকে আমার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বুঝতে পারছি না। আমার কাছে বৈধ কিংবা অবৈধ কোনও পিস্তল নেই।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর ওই যুবকের হাতের পিস্তলের ছবিটি সংগ্রহ করেছি। ছবিটি দেখে প্রথম পর্যায়ে আমার কাছে খেলনা পিস্তল মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে রুবেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি প্রেমঘটিত একটি সালিশে এক কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেন শাহিন হাওলাদার। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ওই কিশোরী তাকে তালাক দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এরপর শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত