রাতে গায়েবি কান্নার শব্দ, খুঁজতে গিয়ে যা পেল পুলিশ
রাজধানীর মিরপুর দুই নম্বরে দীর্ঘদিন ধরে গায়েবি কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছিল এলাকাবাসী। কিন্তু কান্নার উৎস খুঁজে পাচ্ছিল না কেউ। ঘটনাটি নিয়ে কেউ মুখ না খোলায় সম্প্রতি স্থানীয় একজন বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য জানান।
পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে গায়েবি কান্নার রহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৬ মে) মধ্যরাতে রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা ঘটনার বিষয়ে জানান, মিরপুর থেকে ম্যাসেজে জানানো হয়, একটি নির্মাণাধীন আবাসিক ভবনে রাতের বেলা প্রায়ই গায়েবি কান্নার শব্দ আসে। কয়েকদিন চেষ্টা করেও কেউ কান্নার উৎস জানতে পারেননি। পরে এক ব্যক্তি বিষয়টি ‘বাংলাদেশ পুলিশ’এর ফেসবুক পেজে ম্যাসেঞ্জারে জানান। পরে বিষয়টি মিরপুর থানার ওসির নেতৃত্বে সাদা পোশাকের একটি দল ওই নির্মাণাধীন ভবনে যায়।
প্রথম দিন কিছু না পেয়ে পরপর দুদিন রাতের বেলায় দলটি ওই এলাকায় টহল দেয়। পরে তারা দেখতে পান, নির্মাণাধীন হাউজিং কমপ্লেক্সের ভেতরে পরিত্যক্ত একটি ভবনে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও শিশুদের নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন রাতে তিনি তার সন্তানদের হাত-পা বেঁধে মারপিট করতেন। এছাড়াও স্ত্রীকেও নানা সময় নির্যাতন করতেন। সেই চিৎকার শোনা যেত দূর থেকে। পরে স্ত্রী ও শিশুদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নির্যাতনকারী ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
মিরপুর থানা পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর। তিনি দুই শিশু ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশনে। ঢাকায় থাকার জায়গা না পেয়ে গোপনেই পরিত্যক্ত এই নির্মাণাধীন ভবনে থাকতেন। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত