এক শ্মশানেই ২১ ট্রাক চিতাভস্ম! পার্ক তৈরি করতে চায় প্রশাসন

| আপডেট :  ০৭ জুলাই ২০২১, ০৭:১৯  | প্রকাশিত :  ০৭ জুলাই ২০২১, ০৭:১৯

ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুতের গতিতে মৃত্যু মিছিল বেড়েছে। মারা গেছেন লাখ লাখ মানুষ। পরিস্থিতি এমন দাড়ায়, যে কবরস্থানে মৃতদের জায়গা সঙ্কুলান হচ্ছিল না। শ্মশানে দিন–রাত চুল্লি জ্বালিয়েও দাহ শেষ করা যায়নি। গঙ্গা-যমুনার মত নদীতে কভিড রোগীদের মৃতদেহ ভেসেছে কোথাও, তো কোথাও বালির স্তুপে মিলেছে মৃতদেহ!

মৃতদেহের মতোই দাহের পর জমতে থাকে চিতাভস্ম। কভিড বিধির কারণে অনেক পরিবারই তা নিয়ে পানিতে ভাসাতে পারেননি। এই চিতাভস্মকেই এবার কাজে লাগাতে চায় ভোপাল প্রশাসন। এগুলো দিয়ে কভিডে মৃতদের স্মৃতিতে একটি পার্ক তৈরি করতে চায় তারা।

ভোপালের ভাদভাদা বিশ্রাম ঘাটে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ জুন, এই তিন মাসে ৬ হাজার দেহ পোড়ানো হয়েছে। এখন সেখানে কমপক্ষে ২১ ট্রাক চিতাভস্ম পড়ে রয়েছে। কঠিন বিধির কারণে পরিবারের লোক তা নিতে আসতে পারেননি। এই চিতাভস্ম দিয়ে ১২ হাজার বর্গফিটের পার্ক তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে শ্মশান কমিটি।

শ্মশান ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মমতেশ শর্মা জানান, অনেক পরিবারই কোনমতে অস্থি নিয়ে গেছেন। কিন্তু চিতাভস্ম নিতে পারেননি। সেগুলো নর্মদায় ফেললে দূষণ বাড়বে। তাই এই ছাইয়ের সঙ্গে মাটি, গোবর, কাঠের গুঁড়ো, বালি মিশিয়ে পার্ক তৈরি করা হবে। সেই পার্কে বৃক্ষরোপণ করা হবে। মৃতের পরিবার চাইলে প্রিয়জনের স্মৃতিতে চারা রোপণ করতে পারবেন। ৫ থেকে ৭ জুলাই এই গাছ রোপনের সময় পাবেন তারা।

মমতেশ শর্মা আরো জানান, এই পার্কে ৩,৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার চারা রোপণ করা হবে। সেগুলোর বৃক্ষে পরিণত হতে ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। এক্ষেত্রে জাপানের ‘‌মিয়াওয়াকি’‌ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এই প্রযুক্তিতে ঘন অরণ্য তৈরি করা যায় সহজেই। সূত্র: এনডিটিভি।

 

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত