প্রথম কোনো রাজধানীতে তালেবানের হামলা
তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় বাদঘিস প্রদেশের রাজধানী কালা-ই-নাও শহরে হামলা চালিয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান সবচেয়ে বড় বাগরাম বিমানঘাঁটি ছেড়ে যাওয়ার পর তালেবান এই প্রথম কোনো প্রদেশের রাজধানীতে হামলা চালাল। বাদঘিস প্রদেশের গভর্নর হিশামুদ্দিন শামস বলেন, প্রদেশের সবগুলো জেলার দখল নেওয়ার পর তালেবান শহরের কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে। সরকারি বাহিনীর সেনা সদস্যরা শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তালেবান গোয়েন্দা দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তালেবান শহরের কারাগার দখল নিয়ে ৪০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে তালেবানের ১০০ সদস্যও ছিল। কারাগারে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী যেসব সদস্য পাহারায় ছিল তারা বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পন করেছে।
এক ভিডিও বার্তায় গভর্নর শামস শহরের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দয়া করে শান্ত থাকুন। আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি আমরা একসঙ্গে শহরটিকে রক্ষা করব।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে গভর্নর শামস জানান, তালেবান মিলিশিয়ারা তিন দিক থেকে শহরে আক্রমণ করে। তবে শেষ পর্যন্ত তালেবান বাদঘিস শহরের রাজধানী দখল করতে পেরেছে কিনা সেটা জানাতে পারেননি তিনি।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহাম্মদি বলেন, যুদ্ধ ক্রমে বাড়ছে। শহরে তালেবানের বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনী খুবই নাজুক সামরিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
বাদঘিস প্রদেশের কাউন্সিল প্রধান আবদুল আজিজ বেক সাংবাদিকদের বলেন, প্রাদেশিক রাজধানীতে তালেবান হামলা করেছে। কিছু কর্মকর্তা তালেবানের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ইতি টেনে সব সেনাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে, ঠিক তখনই আফগানিস্তানজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তালেবান যোদ্ধারা পুরোপুরি সামরিক বিজয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছে এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে হটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ যোদ্ধারা কিছুদিন ধরেই কাবুলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত