বিধিনিষেধ ‘শিথিলের’ প্রথম দিনই দেখা মিললেছে চিরচেনা ঢাকার

| আপডেট :  ১৫ জুলাই ২০২১, ০৭:৫৫  | প্রকাশিত :  ১৫ জুলাই ২০২১, ০৭:৫৫

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও দুই সপ্তাহ পর কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত থাকবে এই শিথিলতা। ফলে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করছে। এছাড়া শপিংমল ও দোকানপাট খুলছে।

বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনই আবারও দেখা মিললেছে চিরচেনা ঢাকার। করোনাভাইরাস সংকমণের ঝুঁকির মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গণপরিবহন চলছে, দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, চলঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় আগেভাগে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। দোকানপাট, শপিং মল খোলা কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই বালাই। ঘাটে, স্টেশনে, দোকানে, শপিংমলে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

রাজধানীর সড়কগুলোতে দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়, আগের মত যানজট। তবে প্রথম দিন নগর পরিবহনের বাস কম থাকায় মোড়ে মোড়ে অনেক মানুষকে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বেশির ভাগ বাসে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলতে দেখা গেছে। কোনো কোনো বাসে অবশ্য এর চেয়ে বেশি যাত্রী ছিল। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি–সংক্রান্ত অন্যতম শর্ত হলো জনসমাগলস্থলে মাস্ক পরিধান। তবে এ নিয়মের ব্যত্যয় চোখে পড়েছে অনেক জায়গায়। সড়কে আগের মতই বসেছে দোকানপাট। চলছে বেচাকেনাও। তবে এসব দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতারা একেবারেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও না নামিয়ে রেখেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অলিগলির দোকানপাটও সকালে খুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়। যা এখন শিথিল হলো। এদিকে ২১ জুলাই দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

বিধিনিষেধ শিথিলের পর গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করার শর্ত দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে যাত্রীকে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিকদের। রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। লঞ্চের ক্ষেত্রে ডেকের যাত্রীদের মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। এই আটদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিকভাবেই চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অপর নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তার রোধে এ সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ সময়ে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রে গমন ও জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত