ফেরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরুর গাড়ি পারাপার

| আপডেট :  ১৬ জুলাই ২০২১, ০৭:৪০  | প্রকাশিত :  ১৬ জুলাই ২০২১, ০৭:৩৯

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কোরবানির পশু ও পণ্যবাহী ট্রাক। প্রায় অর্ধশত গরুবাহী ট্রাক শুক্রবার রাত থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আটকে রয়েছে। দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে থেকে অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ঘাট পরিদর্শন করে গরুবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারের জন্য ঘাট সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। পরে বেশ কয়েকটি ফেরিতে অধিক সংখ্যক গরুবাহী ট্রাক নিয়ে শিমুলীয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বাংলাবাজার ঘাটের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পশুবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য বাংলাবাজার ঘাটে আসে। অগ্রাধিকার থাকলেও কর্তৃপক্ষ এ ট্রাকগুলো কম পারাপার করছে। এদিকে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গরুগুলো। ট্রাকে তাবু টাঙিয়ে, পাখা দিয়ে বাতাস করে ও মাথায় পানি ঢেলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, ঘাটে গরুর গাড়ির চাপ রয়েছে। আমরা ফেরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরুর গাড়ি পারাপার করছি। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স, কাঁচামালবাহী ট্রাকসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করছি। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে কিছুটা সময় বেশি লাগছে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশসহ পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। লঞ্চে ধারন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। পারাপারের ক্ষেত্রে যে সকল লঞ্চ সরকারের নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্পীডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। কোরবানির ঈদ সামনে তাই ফেরিতে গরুবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।

এদিকে পদ্মায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময়ও কিছুটা বেশি লাগছে। কয়েকটি ডাম্ব ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরুটে সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রী চাপ শুরু হলেও তা ছিল সহনীয় পর্যায়ে। শিমুলীয়া থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো বাংলাবাজার ঘাটে আসছে। আর স্পীডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই শিমুলীয়া থেকে যাত্রীরা দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ফিরতে শুরু করেছেন। ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে নামছেন।

লঞ্চগুলো অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা শিমুলীয়া ঘাটে এসে লঞ্চ অথবা ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে এসে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছুটছেন। তবে, ঈদের এখনো বেশ কয়েকদিন বাকি থাকায় যাত্রী চাপ রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে।

এদিকে, ফেরিতে কোরবানির গরুবাহী ট্রাকের পাশাপাশি পন্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ির চাপ রয়েছে। খুলনা, কুষ্টিয়া, নড়াইলসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে শতশত গরুবাহী ট্রাক বাংলাবাজার ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। একই সঙ্গে ঘাটে আটকে রয়েছে অন্তত পাঁচ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক।

বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড়ো ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুই একদিনের মধ্যে আরও দুটি রোরো (বড়ো) ফেরি এ নৌরুটের ফেরি বহরে যুক্ত হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত