‘করোনা টিকা নেওয়ার বয়সসীমা ১৮ হচ্ছে’
করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন শুরু করব।
করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে প্রস্তুতি রয়েছে এমনটা জানিয়ে ঢাকার বাইরের রোগীদের জন্য বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড হাসপাতাল করার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, গ্রাম পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। গ্রামের মানুষদের অন্যান্য টিকা যেভাবে দেয়া হয়, সেভাবেই করোনা টিকা দেয়া যায় কি না এ বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। যদি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়, তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড দেখেই টিকা নেয়া সম্ভব হবে, নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না।
খুরশীদ আলম বলেন, হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগী টিকা নিতে চাইছেন না। এমনকি অনেক নার্স ও স্বাস্থ্যসেবী এখনো টিকা নেননি। এটা খুবই দুঃখজনক। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কম। ১৪ দিনের লকডাউনের ফলের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো তেমন ফল আমরা দেখছি না। সাধারণত ৩-৪ দিন পর এর ফল দেখা যায়। তবে সীমান্ত এলাকায় আগের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে। ভারত থেকে অক্সিজেন আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার বয়সসীমা প্রথমে ছিল ৪০ বছর। সেখান থেকে কমিয়ে দ্বিতীয় দফায় করা হয়েছে ৩৫। এরপর তৃতীয় দফায় বয়স ৩০ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখন বয়স ৩০ হলেই যে কেউ নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন। এখন বয়সসীমা আরও কমিয়ে ১৮-তে আনার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত