পদ্মা সেতু রক্ষায় ফেরিঘাট সরানো আরও ঝুঁ’কিপূর্ণ

| আপডেট :  ২৭ জুলাই ২০২১, ০৫:০১  | প্রকাশিত :  ২৭ জুলাই ২০২১, ০৫:০১

পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে শাহজালাল ফেরির ধাক্কায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এরপর তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গত ২৫ জুলাই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটটি মাঝিরকান্দির ঘাটে স্থান্তরের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে।

তবে এই মুহূর্তে ফেরিঘাট সরানো পদ্মা সেতুর জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (নদীশাসন) মো. শরফুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ফেরিঘাট সরানো সময় সাপেক্ষ। এ ক্ষেত্রে নদী শাসন ব্যাহত হবে। কারণ ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বরের চুক্তি অনুসারে নদীশাসন কাজের জন্য চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। নদীশাসন কাজ শেষে তারা আমাদের ওই জায়গা বুঝিয়ে দেবে। এখন নতুন করে ঘাট সরাতে গেলে নদী শাসনের কাজটি বিলম্বিত হবে। আর নদী শাসনের কাজ বিলম্বিত হলে পদ্মা সেতু ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ আগামী ১১ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপরই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। কিন্তু ঘাট সরাতে এক বছর সময় লাগবে। এক্ষেত্রে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবে না।

তিনি আরো জানান, পদ্মা সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। ঘাট সরানোর জন্য পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখন যদি মন্ত্রণালয় ঘাট সরানোর প্রয়োজন মনে করে তাহলে সরাতে হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত