দুমকিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ
জুবায়ের ইসলাম সোহান, দুমকি, পটুয়াখালী থেকে: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার জোয়াড়ের পানি বৃদ্ধি ও ঝড়ো বৃস্টি হওয়ার কারণে দুমকী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা ৩ দিনে বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অনেক গাছ উপড়ে পড়ে বসতঘর,বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গিয়েছে। কোথাও কোথাও বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গিয়েছে, বন্ধ রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বাগানে উপচে পড়েছে গাছ। নষ্ট হয়েছে বহু ফসলী জমি, বীজ তলা, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টি ও ঝড়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নচাপ,ভারী বর্ষণ ও ঝড়ের ফলে নদীর পানি তিন ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলের নিমাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান, হঠাৎ ঝড়ে খুটি ও তার ছিড়ে যাওয়ার কারনে উপজেলার অনেক স্থানে এখনও বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য রাত দিন চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ও বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপের কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩০টি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে এবং ৬৫টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থসহ পাংগাশিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি রাস্তা ভেঙ্গে পানি গ্রামে ডুকে পড়েছে।
ইতিমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার তথ্য সংগ্রহে প্রক্রিয়ায় রয়েছেন বলে জানান। ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের মালিকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল থেকে ঢেউটিন, অর্থ এবং চাল অনুদান দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্য সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত