প্রেমিকের সহযোগীতায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার লাউচাপড়া পিকনিক স্পটের পাশের পাহাড়ে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর কথিত প্রেমিক ও তার তিন বন্ধু ও একজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী বকশীগঞ্জের পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার কোমর ভাঙ্গা এলাকার রফিকুলের পুত্র হোসাইন শান্ত, আজিজুলের পুত্র আমিনুল ইসলাম ও অজিমানের পুত্র আঙ্গুর আলম। বকশীগঞ্জের লাউচাপড়া এলাকার রেজাউল করিমের পুত্র আজাদ ও পলাশতালা এলাকার হাম্বুর পুত্র হিটলার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গি এলাকার রফিকুল ইসলামের পুত্র অটোরিকশা চালক হোসাইন শান্তর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় একই এলাকার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার এই কিশোরীকে শান্তর কয়েকজন বন্ধুসহ অটোরিকশাযোগে বেড়াতে নিয়ে যান জামালপুরের বকশীগঞ্জ লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে।
লকডাউনের কারনে পিকনিক স্পট বন্ধ থাকায় পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে যায় কথিত প্রেমিক শান্ত। সেখানে মানুষের উপস্থিতি কম থাকার সুযোগে একে একে পাঁচ বন্ধু মিলে ধষর্ণ করে ওই ছাত্রীকে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় মানুষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। কথিত প্রেমিক শান্ত সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় হোসাইন শান্তকে প্রধান আসামী করে নয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাদায়ের করেন। পরে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ওই স্কুলছাত্রীর সাথে স্থানীয় এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সূত্রে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওই ছাত্রীকে নিয়ে লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে যায় তরুণটি। এসময় পাশের পাহাড়ে বন্ধুদের নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত