লকডাউন নয়, যে কথা ভাবছেন নীতিনির্ধারকরা

| আপডেট :  ০২ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৬  | প্রকাশিত :  ০২ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৬

অব্যাহত ভাবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বৈঠকে বসবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা। সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। একাধিক নীতি নির্ধারক বলছেন, লকডাউন কিংবা বিধিনিষেধে কড়াকড়ি আরোপ করে প্রকৃত পক্ষে কোন লাভ হচ্ছে না। বরং মানুষের মধ্যে এসব বিধিনিষেধ না মানার প্রবণতা প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।

এরকম বাস্তবতায় সরকারের এসব নীতি নির্ধারকদের কেউ কেউ মনে করছেন চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ বা কড়াকড়ি লকডাউন না করে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা ও এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অতিমাত্রায় আইনের প্রয়োগ করা গেলে ইতিবাচক ফলাফল লাভ করা সম্ভব। পাশাপাশি সকলকে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা দেশীয় চিকিৎসক মহলও মনে করেন, করোনায় মাস্ক ও সেনিটাইজার ব্যবহারসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। এমনকি টিকা গ্রহণ করলেও এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে অতিমারী আইনের প্রয়োগ করা হতে পারে। এই আইনে দশ হাজার টাকা জরিমানাসহ গ্রেপ্তার ও জেলের ব্যবস্থা রয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন। ইতিমধ্যেই সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ওই সভায় বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুপারিশগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ আলাপ আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণের বিষয় চূড়ান্ত করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর আরও সাত দিনের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষেও রয়েছেন নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ। যদি তা করা হয় সেক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে। সীমিত পরিসরে চালু করা হতে পারে গণপরিবহন। রফতানিমুখী শিল্প-কলকারখানা তো চালু করা হয়েছে, সেটি চালু থাকবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত