যাত্রীর চাপ সামলাতে ফেরির সংখ্যা আরও বাড়ানো হলো
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো.তাজুল ইসলাম।ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। তিনি জানান, রোগী ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জরুরি ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত রাখা কয়েকটি ফেরি প্রয়োজন অনুসারে বাড়িয়ে দেয়া হবে। কিন্তু, লকডাউনের কথা মাথায় রেখে ফেরি চলাল কোনোভাবেই স্বাভাবিক হবে না।
বিজিবি মোতায়েন, মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশির পরও থেমে নেই ঘরমুখী মানুষের যাত্রা। সিএনজি অটোরিকশায় বা প্রাইভেটকারে কিংবা পায়ে হেঁটে যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন পদ্মার শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। আর যাত্রীর চাপ সামলাতে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিলো বিআইডব্লিউটিসি।
ঘাট এলাকা ও ফেরিতে হাজারো মানুষের ভিড়ে চরমভাবে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। এ দৌড় ফেরি ধরার জন্য, যেকোনো মূল্যে উঠতে হবে ফেরিতে। যত কষ্টই হোক না কেনো পৌঁছাতে হবে বাড়ি।
ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছানোর পথে রয়েছে বিজিবির ৩টি চেকপোস্ট। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছে ব্যক্তিগত গাড়িগুলো। ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে অনেককে। তবু ঘাটে পৌঁছানোর পর দেখা যায় গাড়ির চেয়ে মানুষের ভিড় বেশি। ভেঙে ভেঙে নানা ভোগান্তির পর ঘাট পর্যন্ত পৌঁছান তারা। নদী পার হয়ে কীভাবে বাড়ি পৌঁছাবেন তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
একই অবস্থা দৌলতদিয়া ফেরিঘাটেও। দুপাশেই দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। ১৬টির মধ্যে জরুরি সেবার জন্য ২টি ফেরি চালু থাকলেও মানুষের চাপে উঠতে পারেনি অনেক গাড়িই।
তবে সকাল থেকেই সবচেয়ে বেশি যাত্রীর চাপ শিমুলিয়া ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠেন শত শত যাত্রী। শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছাড়াও যাত্রী বহন করছে ট্রলার। এতে সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় ১৩ জনকে করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রোববার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নৌরুটের ফেরি চলাচল। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকে ফেরি চলাচল ছিলো। রোববার গভীর রাতে ঘোষণা করা ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্তের ১৫ ঘণ্টা পরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের ফেরিঘাটে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ঢল নামে। ভোর থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাট এলাকায় জড়ো হতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। যাত্রীর চাপে হিমশিম খেতে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষকে। এ অবস্থায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত