চেষ্টা বাংলাওয়াস: অল্প রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা

| আপডেট :  ০৭ আগস্ট ২০২১, ০৭:৫১  | প্রকাশিত :  ০৭ আগস্ট ২০২১, ০৭:৫১

সিরিজজুড়েই আলোচনায় মিরপুরের উইকেট। টি-টোয়েন্টির মতো মারমার কাটকাট ফরম্যাটের খেলা হচ্ছে ধীরগতির উইকেটে। এখানে শট খেলা খুব কঠিন। এর মাঝেও সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শনিবার চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাট করে টাইগারদের সংগ্রহটা জমজমাট হলো না। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১০৪ রান। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। আর শেষের দিকে ১৬ বলে ২৩ রানের অতি প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলেন মাহেদি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন সৌম্য সরকার আর নাঈম শেখ। অ্যাশটন টার্নারের করা প্রথম ওভারে আসে ২ রান। হ্যাজেলউডের করা দ্বিতীয় ওভারে দুই বাউন্ডারি মেরে রানের গতি বাড়ান নাঈম। তৃতীয় ওভারে লং অফ দিয়ে মেরে হাত খোলেন সৌম্য। কিন্তু ওই পর্যন্তই। ৪র্থ ওভারে দলীয় ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হ্যাজেলউডের বলে ক্রস ব্যাটে সুইপ খেলতে গিয়ে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়েন। উইকেটে আসেন সাকিব। কিন্তু জুটিতে আরও একবার ২৪ রান আসতেই ছোট্ট ধস নামে। দলীয় ৪৮ রানে আউট হলেন সাকিব। ২৬ বলে ১ চারে ১৫ রান করা সাকিব হ্যাজেলউডে কাটারে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।

গত ম্যাচের নায়ক মাহমুদউল্লাহ আজ ‘ডাক’ মারেন। সিরিজে এই নিয়ে তার ‘ডাক’ সংখ্যা হলো ২টি। ৩ বল খেলে সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া সোয়েপসনের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন। পরে বলে আবারও বিপদ। নুরুল হাসান সোহানের (০) বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউয়ের আবেদন নাকচ করেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সোহানকে ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। ১ উইকেটে ৪৮ থেকে ৭ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেটে ৫১ হয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর। ধীরগতিতে খেলতে থাকা ওপেনার নাঈমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আফিফ। সোয়েপসনের করা ১৫তম ওভারে নাঈমের বিপক্ষে এলবিআব্লিউয়ের জন্য রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পরের বলেই ৩৬ বলে ২ চারে ২৮ রান করা নাঈমকে ম্যাথু ওয়েডের তালুবন্দি করে তৃতীয় শিকার ধরেন সোয়েপসন। ৬৮ রানে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়।

অ্যাস্টন আগারের করা ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে বল ফেলেন আফিফ। অজিদের শর্ত অনুযায়ী নতুন বল এনে খেলা শুরু হয়। চতুর্থ বলেই উইকেটের দেখা পান আগার। তাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটের সীমানার কাছে হেনরিকসের তালুবন্দি হন ১৭ বলে ১ ছক্কায় ২০ রান করা আফিফ। যাকে নিয়ে এই সিরিজে অনেক আশা ছিল, সেই শামীমও ৬ বলে ৩ রান করে অ্যান্ড্রু টাইয়ের ‘নাকল’ বলে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ধরা পড়েন। ৮৩ রানে ৭ম উইকেটের পতন। একশ হবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। শেষ ওভারে মাহেদি হাসানের এক চার এক ছক্কায় দলের স্কোর একশ ছাড়ায়। এরপরেই টাইয়ের করা পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দেন ১৬ বলে ২৩ রানের কার্যকর ইনিংস খেলা মাহেদি। শেষ বলেও ক্যাচ দিয়ে আউট হন শরীফুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১০৪ রান। ৩টি করে উইকেট নেন সোয়েপসন আর টাই। ২টি নিয়েছেন হ্যাজেলউড এবং ১টি নিয়েছেন আগার।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত