এবার লঞ্চের ভাড়া নিয়ে যা বললেন নৌ প্রতিমন্ত্রী
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে আগামী ১০ আগস্ট। বিধিনিষেধ শেষে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু খুলে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রবিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এসময় যানবাহনে যত আসন তত যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলে বাসের ভাড়া না বাড়লেও বেশি ভাড়া বহাল থাকছে লঞ্চে। রবিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গণপরিবহন চলাচলের কথা জানানো হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী লঞ্চে বর্ধিত ভাড়ার বিষয়ে বলেন, যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলার নির্দেশনা রয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে আমরা যে ভাড়া বাড়িয়েছি সেটিই বহাল থাকবে। ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করতে হলে নতুন করে একটি বৈঠক করতে হবে। সে জন্য বর্ধিত ভাড়া চলমান রয়েছে।
তবে বর্ধিত ভাড়ার পক্ষে নয় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, লঞ্চে ভাড়া নির্ধারণ যে পদ্ধতিতে আছে সে হিসেবে কিছু আসন ফাঁকা থাকার কথা। কারণ ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা রেখেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন অবৈধটাকে বৈধ করা যাবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের কথা বলা হয়েছে। আপাতত বর্ধিত ভাড়াই বহাল থাকবে। ভাড়া কমাতে হলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নতুন করে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ১১ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে। এই সময়ের মাঝে সকলকে মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। ১০ আগস্টের পর সবকিছু ধাপে ধাপে খুলবে। দোকানপাটও খুলতে হবে। সকলে যেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে সেদিকে সতর্ক থাকবে। আমরা চাইবো প্রত্যেকেই যেন মাস্ক পরে।
এর আগে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছিল সরকার। গত ৩ আগস্ট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে সড়কে পুনরায় গণপরিবহন চলাচল করবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১১ তারিখ থেকে খুলবে অফিস।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত