এবার গোপালগঞ্জে ৫ মিনিটের ব্যবধানে ষাটোর্ধ বৃদ্ধাকে দেয়া হলো দু’বার টিকা
বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ থেকে: ব্যাবধান মাত্র ৫ মিনিটের। এরই মধ্যে মমতাজ বেগম (৬৫) নামে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধাকে দিয়ে দেয়া হলো করোনার দুই ডোজ টিকা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে দুই বার এ ঘটনা ঘটে। মমতাজ বেগম গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেদগ্রাম ফায়ার সার্ভিস রোডের বাসিন্দা মৃত. নওয়াব আলীর চৌধূরীর স্ত্রী।
মমতাজ বেগম বলেন, বেলা ১১ টায় গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের টিকা কেন্দ্রে সামনে লাইনে দাঁড়ান তিনি। পৌনে ১২ টায় টিকার কার্ড নিয়ে তিনি নির্ধারিত রুমের মহিলা কক্ষে প্রবেশ করি ও আমি একটি বেঞ্চে বসি। আমি আমার আগে আরো চারজন মহিলা ছিলো, তাদের টিকা দেয়ার পর একজন নার্স এসে আমাকে টিকা দেয়। টিকা দেওয়ার পর একটু মাথা ঘুরছিলো বলে আমি ওই কক্ষের বেঞ্চে টিকার স্থান চেপে ধরে বসে থাকি।
মিনিট পাঁচেক পরে অন্য একজন নার্স এসে আমাকে বলে তাড়াতাড়ি হাত সরান, এই বলে আরো একটা টিকা দিলো। আমি তাদের বলেছিলাম “আমি তো একটু আগে একবার টিকা নিয়েছি, এবার কি দুইটা নিতে হবে?” আমার কথা না শুনেই দিয়ে দিলো। এরপর আমি বার বার বলেছিলাম আমাকে আবার দেওয়া হলো কেন? এবার কি দুইটা নিতে হয়। এরপর একজন নার্স বলে আপনাকে কি আজ টিকা দিয়েছিলাম নাকি? বলার পরও দিয়ে দিলো।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ বলেন, টিকা দেওয়ার বিষয়টা আমি শুনেছি। আমি গোপালগঞ্জ সদরে ছিলাম না, মুকসুদপুর উপজেলায় গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসক সাকিবুর রহমান বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসক সাকিবুর রহমান বলেন, আমি জানার পর টিকা গ্রহনকারীকে ডেকে ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে তাকে দুইটি দেওয়া হয়েছে। আমি ওই নার্সকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। ওই নার্স বলেছে টিকা গ্রহনকারী প্রথম টিকা নেওয়ার পর হাত বের করে বেঞ্চে বসেছিলো তাই নার্স মনে করছিলেন তিনি টিকা নেবেন। নার্স দ্বিতীয় বার দিতে গেলে বৃদ্ধা মহিলা যখন বলেন আমি একটা নিয়েছি তখন আর টিকা দেয়া হয়নি। শুধু সুইয়ের খোঁচা লেগেছে। তারপরও আমি তাকে আমার মোবাইল নম্বর দিয়েছি কোন সমস্যা মনে হলে আমাকে কল করার জন্য। এছাড়াও আমরা টিকা গ্রহণকারী বৃদ্ধার খোঁজ খবর রাখছি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত