বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট এমনটিই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে। শুরুতে এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহের ছয় দিন আসবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন আসবে। সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে মাস্ক পরতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জেএসসি, জেডিসি ও বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, অন্ততপক্ষে সব শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার। সে আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে উপাচার্যদের সঙ্গে হয়ত বৈঠক করব ইনশাল্লাহ। সেখানে (বৈঠক) অবস্থা আবারও পর্যবেক্ষণ করে যদি তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, তারা অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট ও একাডেমিকভাবে হয়ে থাকে। তাই এ সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করব।
সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত