বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের

| আপডেট :  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৫৮  | প্রকাশিত :  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৫৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এসময় তিনি বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে এ প্রসংশা করেন তিনি

জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক থেকে উন্নয়নের জন্য ও সরকার প্রধানের মানবিকতার জন্যও প্রশংসা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের হোটেল লোটে নিউ ইয়র্ক প্যলেসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশ ঘনিষ্টভাবে জড়িত। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সাফল্যের গল্প। জাতিসংঘের বহু অর্জনের পেছনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব রয়েছে, সেখানে অবদান আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এসব সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্তোনিও গুতেরেস।

বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ (ইউএন) মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে স্বাগত জানান। জাতিসংঘ বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলোকে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মত বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলো জাতিসংঘেরও অগ্রাধিকার।

শেখ হাসিনা জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের উচ্চপদে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আরো বেশি সদস্য নিযুক্ত করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে জাতিসংঘের সাড়া দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুতেরেস এই আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন এবং তিনি এটিকে ন্যায্য মনে করেন ও বাংলাদেশের জন্য আরো কিছু করতে চান।

এই পরিপেক্ষিতে তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এই ব্যাপারে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনের কথা এবং শান্তি রক্ষা মিশনে তাদের সাফল্যের গল্প রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
ড. মোমেন বলেন, একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশকে জাতিসংঘ ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

গুতেরেস বাংলাদেশের এবং দেশটির সার্বিক অর্জনের ব্যাপারে এর নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মাদ সহিলের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে তাঁর সরকার ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা চালু করার চিন্তা ভাবনা করছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত