মামুনুলের ২ বিয়েতে ছিল না কাবিননামা ও দেনমোহর!

| আপডেট :  ২১ মে ২০২১, ০৬:১৩  | প্রকাশিত :  ২১ মে ২০২১, ০৬:১৩

বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ২ বিয়েতে ছিল না কাবিননামা ও দেনমোহর! এমনকি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়ে কোনো কাজি পড়াননি।

মামুনুল হক পুলিশের কাছে তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ। কথিত স্ত্রীর করা ধর্ষণের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তিনদিন এ মামলায় রিমান্ডে ছিলেন মামুনুল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক তিনটি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু ধর্ষণ মামলার বাদী ও অপর এক নারীকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না। কাবিননামা বা দেনমোহরও ছিল না বলে জানিয়েছেন মামুনুল। এই দুই স্ত্রীর একজনের বাড়ি ফরিদপুর, যিনি মামলার বাদী আর আরেক স্ত্রীর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।

রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করে বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক জানিয়েছেন, বাদীর স্বামীর সঙ্গে আগে থেকেই তাঁর পরিচয় ছিল। সেভাবে ২০০৭-০৮ সাল থেকে তাঁর সর্ম্পক। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলে বাদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। বাদীকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না, কাবিননামা-দেনমোহরও নেই।

তিনি আরো বলেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, ‘কাবিন’ ও ‘দেনমোহর’ ছাড়া মেলামেশা করা ঠিক হয়নি, ভুল হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলেও মামলার তদন্তকারী সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি রুমে নারীসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় লোকজন। মামুনুল ওই নারীকে স্ত্রী বলে দাবি করেন। পরে ওই নারী মামুনুলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন। এর আগেই বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হন মামুনুল হক।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত