ইউক্রেন দখল করে নেবে রাশিয়া, আবারও যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, রাশিয়া যে কোন সময় ইউক্রেন দখল করে নেবে বলে তিনি মনে করেন। বেলারুশে রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েন এবং মহড়া অব্যাহত রাখা তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
তিনি বলেছেন, চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনের পাশে বেলারুশে তিরিশ হাজার সৈন্য মোতায়েন রাখার ব্যাপারে মস্কোর সিদ্ধান্ত এমন সঙ্কেত দেয়। খবর বিবিসির
ইউক্রেন দখল করে নেবার ব্যাপারে রাশিয়ান সেনা কমান্ডারদের আদেশ দেয়া হয়েছে বলে অজ্ঞাতনামা এক মার্কিন গোয়েন্দার তরফ থেকে তথ্য পাওয়ার পর এমন বক্তব্য দিলেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
তবে ইউক্রেন বলছেন, আসন্ন হামলা সম্পর্কে এমন বক্তব্য ‘অসমীচীন’। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, কাল অথবা পরশু’র মধ্যেই হামলা হবে এমন কোন লক্ষণ নেই কারণ রাশিয়া এখনো সীমান্তে কোন ‘স্ট্রাইক গ্রুপস’ বা হামলা দল তৈরি করেনি।
ইউক্রেন দখল করে নেয়ার চেষ্টা সম্পর্কিত এসব দাবি অস্বীকার করে আসছে প্রতিবেশী রাশিয়া। অভিযানের আশংকার মধ্যেই বেলারুশ বলেছে রুশ সৈন্যদের সাথে তাদের যে যৌথ সামরিক মহড়া চলছিল, সেটির মেয়াদ বাড়ানোর কারণ ইউক্রেনে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
ইউক্রেনের পশ্চিমে ডনবাস অঞ্চলে দেশটির সরকারি বাহিনী এবং রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও লড়াই অব্যাহত ছিল।
সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ‘আমরা যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে যে বিষয়টি চরম গুরুতর। আমরা যেকোনো সময় হামলার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমান সরে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিটা মিনিট ব্যবহার করে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে দেখবো অগ্রসর হওয়া থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্ষান্ত করা যায় কিনা।’
অজ্ঞাতনামা মার্কিন গোয়েন্দা সিএনএনকে বলেছে, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর অন্তত সত্তর শতাংশ এখন ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছে। হামলা করা যায় এমন দূরত্বে তারা অবস্থান করছে যা খুবই অস্বাভাবিক।
মার্কিন স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার স্যাটেলাইটে ধারণ করা নতুন ছবি প্রকাশ করেছে। রাশিয়ান গ্যারিসন থেকে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে নতুন করে সেনা ও ভারি অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে বলে তাতে দেখা যাচ্ছে। এতে করে হামলার জন্য রুশ বাহিনী কতটা প্রস্তুত তার ধারণা পাওয়া যায়, এমনটাই দাবি করছে ম্যাক্সার।
ইউক্রেন-রাশিয়ার এই চলমান উত্তেজনার সূত্রপাত সেই ২০১৪ সালে যখন ইউক্রেনে রুশ-পন্থী প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, রাশিয়া সৈন্য পাঠিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়। একই সময়ে রাশিয়ার সাহায্যে জাতিগত রুশ বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বড় একটি এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
তখন থেকেই বিদ্রোহীদের সাথে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর থেকে থেকে লড়াই চলছে যাতে ১৪ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত