প্রতিবন্ধী ওমিউনের পাশে ঈশ্বরগঞ্জ মানবতা ফাউন্ডেশন

| আপডেট :  ১০ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩০  | প্রকাশিত :  ১০ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩০

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের কাকনহাটি গ্রামের প্রতিবন্ধী ওমিউনের পাশে দাঁড়িয়েছে অসহায়দের পক্ষে কাজ করা সংগঠন “বাংলাদেশ মানবতা ফাউন্ডেশন” ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখা।

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে প্রতিবন্ধী শিশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ওমিউনের বাবার হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি খাইরুল ইসলাম আল আমিন।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রয়ারী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জন্ম গ্রহণ করে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের কাকনহাটি গ্রামের দিন মজুর মোঃ উবায়দুল্লার ১ম সন্তান ওমিউন সাজ্জাদ ইয়াসিন। জন্ম গ্রহণ করার পর শিশুটি কান্না না করায় কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ভর্তির বেশ কিছুদিন পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।

পরে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি আসার পথে তার বাবা-মা দেখতে পায় যে, শিশুটি নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছে। পরে তারা জানতে পারে যে শিশুটি এখনো জীবিত রয়েছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! এখনো বেঁচে আছে ওমিউন কিন্তু প্রতিবন্ধী হয়ে। তার হাত, পা, মুখ সবকিছুই বিকলাঙ্গ। হাটা-চলা, কথা বলা কোন কিছুই তার দ্বারা সম্ভব না।

শিশুটির পিতা মোঃ উবায়দুল্লাহ জানায়, আট বছর ধরে আমি আমার এই প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নিয়ে জীবন যাপন করছি। টাকা পয়সার অভাবে বাচ্চাটির চিকিৎসাও করাতে পারিনি। আমার এই শিশুটির জন্য কোন প্রকার সাহায্য সহযোগীতাও আমি পাই নি। এখন পর্যন্ত একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডও করে দেয়নি কেউ।

বাংলাদেশ মানবতা ফাউন্ডেশন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি খাইরুল ইসলাম আল আমিন জানান, বাংলাদেশ মানবতা ফাউন্ডেশন অসহায়দের পক্ষে কাজ করা একটি সংগঠন। আমারা বিষয়টি জানার পরেই দেখতে আসি ওমিউনের বাড়িতে। পরে আমাদের সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রফিক ওমিউনের সাহায্যার্থে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। পরে আমাদের পক্ষথেকে ১ কেজি করে খেজুর, চিনি, তেল, ডাল , ছুলা, মুড়ি দিয়ে আসি। পাশাপাশি সমাজের বিত্যবান ও ঈশ্বরগঞ্জের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সহযোগীতা কামনা করছি।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত