দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ভোগান্তি চরমে

| আপডেট :  ১২ জুন ২০২২, ০৮:৩০  | প্রকাশিত :  ১২ জুন ২০২২, ০৮:২৭

জুবায়ের ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২নং ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংযোগ কচ্ছপিয়া খালের ওপর নির্মিত সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তি এখন চরমে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৫নং শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মতি খানের বাড়ি থেকে ২নং ওয়ার্ডের ফকির বাড়ি সংযোগ সড়কের কচ্ছপিয়া খালের শাখা বাদুয়া-শ্রীরামপুর খালের ওপর নির্মিত গ্রামীণ সাঁকোটি যেমনতেমন ভাবে নির্মিত হওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসীরা।

ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকোটি পারাপারে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুই পাড়ের মানুষ ও সাধারণ পথচারীরা। বাচ্চাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন অভিবাবক। খালের পশ্চিমপাড় থেকে এই সাঁকো পার হয়ে প্রায় শতাধিক কোমলমতি শিশু ও অন্য শিক্ষার্থীরা পশ্চিম শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, থানা ব্রিজ নুরানি মাদ্রাসা এবং দুমকি মডেল স্কুলে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। উঁচু নিচু বাঁকা-ত্যাড়া গাছের এমন ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটিতে দায়সারা একটি মাত্র ধরনি রয়েছে, যা বেশিরভাগ শিশু নাগাল পায় না। ফলে ওই সাঁকো

পারাপারকালে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
পশ্চিম শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ ওয়াদুদ খান বলেন, আমাদের কোমলমতি শিশুদের নির্বিগ্নে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার জন্য সাঁকোর পরিবর্তে একটি কালভার্ট অত্যন্ত জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শামীম খানসহ অনেকে জানান, সর্বত্র গ্রামীণ রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সংযোগ সড়ক ও সাঁকোটির কাঙ্ক্ষিত কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। উক্ত স্থানে দ্রুত একটি কালভার্টের ব্যবস্থা না করা হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড.হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, জনসাধারণের ভোগান্তি দূর করতে উক্ত খালের উপর একটি কালভার্টের ব্যবস্থা করা হবে। কালভার্ট করতে দেরি হলে দ্রুত একটি আয়রন ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত