মিরাজ-আফিফের ব্যাটে লড়াইয়ের স্কোরে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কম রানের বৃত্ত আর মন্থর ব্যাটিংয়ে আটকে থাকা বাংলাদেশ অবশেষে খোলস পাল্টেছে। মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেনদের মতো তরুণদের ব্যাটে বড় লক্ষ্য দেয়া গেছে শ্রীলঙ্কাকে। কুড়ি ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৮৩ রান।
ম্যাচটা বাঁচা-মরার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পা ফসকালে আর রক্ষা নেই বাংলাদেশের। ব্যাগ গুছিয়ে ধরতে সোজা বাড়ির পথ ধরতে হবে সাকিবদের। এমন সমীকরণে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
তিন পরিবর্তনের দলে জায়গা হয়নি দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও আনামুল হকের। জায়গা হারান অল-রাউন্ডার সাইফউদ্দিন। ওপেনার বিহীন দলের ওপেনিং সামলাতে আসা মেহেদী মিরাজ ও সাব্বির রহমানের ভয়ডরহীন ব্যাটিং ছিল শুরুতে।
সাব্বির যদিও থিতু হতে পারেননি, ৬ বলে ১ চারে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন আসিথা ফার্নান্দোর শর্ট বল পুল করতে গিয়ে কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে।
সাব্বিরের ফেরার পর সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসানের জুটি থেকে আসে দ্রুত রান। দুজনের জুটি ভাঙে ৩৯ (২৪) রান তুলে মিরাজের বিদায়ে। ২৬ বলে সমান ২টি চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করে বিদায় নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে।
মুশফিকুর রহিম আজও ব্যর্থ হয়েছেন। মাত্র ৪ রান করে করুণারত্নের বলে ক্যাচ দেন উইকেট রক্ষকের হাতে। এরপর সাকিব (২৪) বিদায় নেন মাহেশ থেকশানার বল সুইপ করতে গিয়ে সাকিব বোল্ড হয়ে।
৮৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৭ রান তোলেন আফিফ হোসেন। যতক্ষন উইকেটে ছিলেন আফফি ততক্ষন আগ্রাসী দেখা গেছে তাকে। ২২ বলে ১ ছক্কা, ১ চারে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন মাধুশাঙ্কার বলে ক্যাচ দিয়ে।
মাহমুদউল্লাহ এদিন শুরুতে ধীরে ব্যাট চালালেও শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ২ চারে করেন ২৭ রান। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ৯ বলে ২৪ এবং তাসকিন আহমেদের ৬ বলে ১১ রানে ভর করে দুবাই স্টেডিয়ামে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও চামিকা করুণারত্নে। ১ উইকেট করে নেন দিলশান মাধুশাঙ্কা, মাহেশ থেকশানা ও আসিথা ফার্নান্দো।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত