বিএনপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে রাজাকাররা: মির্জা আজম
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে ভাবে পরিকল্পনা করে খুন করেছিল বঙ্গবন্ধুকে। তার ছেলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুন করার জন্য গ্রেনেট হামলা করেছিল। সেই মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি হল তারেক রহমান। সেই হল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। আর এদিকে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন একাত্তরের আলবদর আলসামের রাজাকারের দল।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ফুকুরহাটি রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের পিতা ছিল একজন ঠাকুরগায়ের এক নম্বর কুখ্যাত রাজাকার। রাজাকারে ছেলে নাকি ১০ ডিসেম্বর রাজাকারদের নিয়ে ঢাকার শহরে খেলা দেখাবে। যারা দেশ বিরোধী ও রাজাকার ছিল তারাইতো বিএনপি করে। ওইদিন আওয়ামীলীগও মাঠে থাকব।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউরি রহমান ১১ নম্বরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তখন ক্ষমতায় আসার পর ১১ হাজার যুদ্ধঅপরাধীদের মুক্ত করে দিয়েছিল। পাকিস্থানের নাগরিক গোলাম আযমকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নামসহ জয়বাংলা শ্লোগান বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকায় প্রতিদিন কারফিউ জারি করে অনেক সেনা কর্মকর্তা ও ১৩ শত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল।
মির্জা আজম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কুখ্যাত রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে সংসদে বসিয়ে আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে বিতারিত করতে চেয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ওই রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফাঁসির কাস্টে ঝুলিয়েছে। এ দেশের মাটিতে রাজাকারদের বিচার করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি, জামাত দেশের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। সে জন্য বিভিন্ন জায়গাই সমাবেশ করে মানুষকে বলে বেড়াছে আওয়ামী লীগ সরকার কিছু করে নাই। কিন্তু মানুষ যানে প্রান্তিক গ্রামেও পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য সেবা পৌছিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের গণমানুষের সরকার। সে জন্য ভয় পেয়ে বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে পদ্ম সেতু হতো না। ঢাকার মেট্রো রেল হতো না। ফ্লাইওভার হতো না। দেশের উন্নয়ন হতো না। রূপপুর পরমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতো না। শেখ হাসিনা আছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামীলীগ দেশের উন্নয়ন করতে পারে। সে জন্য আগামী নির্বাচনে এদেশের মানুষ আবারও আওয়ামীলীগকে বিজয় করবেন।
প্রধান অতিথি মির্জা আজম সাটুরিয়া উপজেলার তিন বছরের জন্য আলহাজ্ব ফজলুর রহমানকে সভাপতি ও মো. আফাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
এ সময় অন্যান্যাদের মাঝে উপস্থিত ছিলে, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশে বিষয়ক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহবুদ্দিন ফরাজী ও মো. আনোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম ও সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটোসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীর।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত