রাজনীতিতে নাজমুল হুদার উত্থান-পতন
সাবেক যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী এবং সদ্য নিবন্ধনপ্রাপ্ত তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন নাজমুল হুদা। একাধারে আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। দেশের রাজনীতিতে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি।
বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন নাজমুল হুদা। ১৯৯১ সালে সরকার গঠন করে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি। সেবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন নাজমুল হুদা। ১/১১ পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সেসময় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন নাজমুল হুদা। তবে বহিষ্কৃত হলেও দলীয় কাজ করতে থাকেন তিনি। ফলে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়া হয়।
২০১২ সালে ৬ জুন বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেন নাজমুল হুদা। পরে ১০ আগস্ট আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি।
কিন্তু কয়েক মাস পর নাজমুল হুদাকে বিএনএফ থেকে বহিষ্কার করেন আবুল কালাম। ২০১৪ সালে এমপি হন তিনি।
২০১৪ সালের ৭ মে বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) গঠন করেন নাজমুল হুদা। ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দল গঠন করেন তিনি।
২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর তৃণমূল বিএনপি নামে আরও একটি নতুন দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। সম্প্রতি দলটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ইসির নিবন্ধন পায়।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত