বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পরিবর্তন নিয়ে যা বললেন প্রধান নির্বাচক
জিম্বাবুয়ে সিরিজের একটি ম্যাচ বাদ দিলে টানা ব্যর্থ টপ অর্ডার। ওপেনিংয়ে সুবিধা করতে পারছেন না কেউই। লিটন দাস দীর্ঘদিন অফ ফর্মে। আস্থার প্রতিদান দিতে পারছেন না সৌম্য সরকার।
তানজিদ হাসানের ব্যাটেও ধারাবাহিকতা নেই। অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও নিয়মিত রান পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় গতকাল পর্যন্ত পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও সে সুযোগ নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, ‘এটা গৎবাঁধা একটা নিয়ম ছিল।
বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রত্যেক দলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সে আলোকে ২৪ তারিখ (দুবাই সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিট) পর্যন্ত সুযোগ ছিল। প্রটোকল অনুযায়ী অধিনায়ক, কোচ এবং আমরা নির্বাচকরা বসে কিছুক্ষণ আলাপ করেছিলাম। এ মুহূর্তে যে দল আছে, সেটাই বহাল রেখেছি।
অর্থাৎ গত ১৪ মে যে ১৫ জনকে নিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি, তাঁদের ওপর আস্থা রাখছেন বলে জানিয়েছেন গাজী আশরাফ, ‘বিশ্বকাপে যাতে ভালো করতে পারি, সেই আশা করছি। যে দল নির্বাচন করেছিলাম, সেই দলের উপরই আস্থা রাখছি।’
দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ পাঁজরের চোটে ভুগছেন। গতকাল চোটের জায়গায় পরীক্ষা করা হলে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। সে অর্থে তাসকিনকে নিয়ে আর ঝুঁকি নেই।
কিন্তু ঘুরেফিরে ব্যাটারদের ব্যর্থতার আলোচনা চলছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও হতশ্রী অবস্থা। ব্যাটারদের কারণে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার। এটাকে হতাশজনক বললেও ক্রিকেটারদের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে না বিসিবি।
প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘বিশ্বকাপের মিশন তো এখনও শুরুই হয়নি। একটা সিরিজ খেলছি। বিশ্বকাপের আলোকেই দল ঘোষণা করেছি। বিস্তর চিন্তাভাবনা করেই দল দিয়েছি। আকাঙ্ক্ষিত ফর্মে সবাই নেই, এটা দুঃখজনক। ফলাফলও ভালো হচ্ছে না। হতাশাজনকই বলব, দুটি ম্যাচেই জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম। ওপরের ব্যাটাররা রান পাচ্ছে না, সত্য। দ্বিতীয় ম্যাচে যদি তাকান, অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও জয়ের প্রান্তে নিয়ে যেতে পারেনি। দলগতভাবে উন্নতি করতে হবে।’
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত