হামাস বা ইসরায়েল নয়, গাজা শাসন করবে তৃতীয় পক্ষ

| আপডেট :  ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৪  | প্রকাশিত :  ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৪

 

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় আলোচনায় অনেক দূর এগিয়েও কয়েক সপ্তাহ আগে থেমে যায়। তবে গত সপ্তাহে হামাস চুক্তির শর্তে কিছুটা ছাড় দিলে আলোচনায় নতুন করে গতি আসে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান যুদ্ধ শেষে গাজা কে শাসন করবে, সে বিষয়ে একমত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। যুদ্ধরত দুই পক্ষই প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে গাজা তুলে দেয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের এক উপসম্পাদকীয়ের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

মার্কিন কলাম লেখক ডেভিড ইগনাশিয়াস এই উপসম্পাদকীয় লিখেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, একটি বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফ্রেমওয়ার্কে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এখন এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করছে দুই পক্ষ। এ ছাড়া উভয় পক্ষই চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সমর্থিত একটি বাহিনীর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মেনে নিতে সম্মত হয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এসব দাবি করেছেন তিনি।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলছেন, ফ্রেমওয়ার্কে রাজি হলেও চূড়ান্ত চুক্তি খুব দ্রুত হচ্ছে না। এ ছাড়া চুক্তির বিস্তারিত তথ্য সামনে আসতে আরও সময় লাগবে।

ডেভিড ইগনাশিয়াস জানান, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি পুরুষ সেনাদের মুক্তি দেবে হামাস। এই ধাপেই গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারসহ যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে সম্মত হবে দুই পক্ষ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত বাহিনী গাজার নিরাপত্তা দেবে। আর এতে সহায়তা দেবে মধ্যপন্থী আরব দেশগুলো। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের আড়াই হাজার সদস্য নিয়ে এই বাহিনী গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে এমন সদস্যদের এই বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হবে।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার কথা হামাস মধ্যস্থতাকারীদের অবহিত করেছে।

২০০৭ সালের আগ পর্যন্ত ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজা শাসন করেছে। তবে ওই বছর তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করে গাজার শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেয় হামাস। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত হামাসই ছোট্ট এই উপত্যকা শাসন করছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত