খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ কী, জানালেন আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি থেকে সরকারি সিদ্ধান্তে এখন জেলের বাইরে আছেন। তার স্থায়ী মুক্তির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে বিএনপি। তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে খালেদা জিয়ার পরিবারও। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তবে সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেনি।
আজ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ বাতলে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ রাষ্ট্রপতির কাছে অথবা দোষ স্বীকার করে সরকারের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এছাড়া তার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই।
বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত মঞ্জুরি দাবির ওপর আলোচনাকালে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, উনারা যদি আইন দেখাতে পারেন আমি চাকরি ছেড়ে দেব। সাজাপ্রাপ্ত আসামির জামিন শর্ত বা শর্তযুক্ত। আর চিকিৎসা, উনি (খালেদা জিয়া) এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। উনার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। উনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। চিকিৎসা পান নাই কারা বলতে পারে? যারা হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে না, আমরা বাধাগ্রস্ত করেছি হাসপাতালে যেতে এমন নজির উনারা দেখাতে পারবেন না। তাহলে উনারা চিকিৎসা পান নাই একথা বলেন কেন? নিরর্থক শুধু পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি করলে তো হবে না?
তিনি বলেন, যদি কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্ত করতে হয়, সেটা একমাত্র আইনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে। অন্যভাবে কারো কোন সুযোগ নাই। আর একটা আছে হ্যাঁ সেটা হচ্ছে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন, না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের কাছে ৪০১ ধারায় ক্ষমা চাইতে পারেন। ক্ষমা চাইলে পরে সেই শর্তে ওনারা (সরকার বা রাষ্ট্রপতি) যদি বিবেচনা করেন। এছাড়া সেই ক্ষমা চাইতে গেলে অবশ্যই দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। সে ক্ষেত্রে অন্য উপায়ে উনাকে মুক্তির বিষয়ে এই সংসদে বক্তৃতা দিয়ে পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি করলে তো হবে না। আপনারা আইনটা দেখান, আইন দেখালে সেটা যদি না কনসিডার করি তখন বলবেন।
বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাকে উদ্দেশ্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, উনি যা যা বলেছেন সবগুলো কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের, উনি আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন, মানে হচ্ছে বক্তৃতা দেওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছেন ওই কথাগুলো বলতে হবে। ওইটা আইনমন্ত্রীর কাজ না। ধান ভানতে শিবের গীত গায়েন না।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত