হেফাজতের হরতালে বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততার জবানবন্দি
হেফাজতের ডাকা হরতালে অগ্নি-সংযোগসহ ঘটে যাওয়া তাণ্ডবে বিএনপি ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন ছিল বলে স্বীকার করেছেন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবীরের আদালতে রাকিব হোসেনকে নামে ওই ছাত্রদল কর্মী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ হরতাল কর্মসূচির দিন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট এলাকা থেকে রাকিব হোসেনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার দেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহন ছিল বলে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল কর্মীর এমন স্বীকারোক্তি সেই প্রতিবেদনের সত্যতা প্রমাণ করলো।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৮মার্চ হেফাজতের হরতাল চলাকালে রুপগঞ্জের সাওঘাট এলাকায় যানবাহনে ভাংচুর চালাচ্ছিল দুস্কৃতিকারীরা। সেদিন বিকালেই ঘটনাস্থল থেকে সোহেল রানা (৪০), সোহেল ভুইয়া ওরফে বাবু (৩৪) ,মিলন মোল্লা (৩৩) ও রাকিব হোসেনকে (১৯) গ্রেফতার করে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে ভাংচুরকৃত একটি ট্রাকও উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলাটির তদন্তভার আমাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে আসামী রাকিবকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ কালে সে নিজেকে একজন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী বলে স্বীকার করে জানায়, হেফাজতের হরতাল সমর্থন ও জ্বালাও পোড়াও করার নির্দেশ ছিল তাদের ওপর। এই তাণ্ডবে অনেক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছিল।
রাকিব জিজ্ঞাসাবাদে ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে, স্থানীয় বিএনপি নেতা কাজী তাজসহ অনেকেই এই তাণ্ডবে অংশ নিয়েছিল।
পুলিশ সুপার জানান, রাকিব এছাড়াও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আমাদের। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপি ও জামায়াতের সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত