দুমকিতে মানছে না বিধিনিষেধ, শনাক্ত ২
জুবায়ের ইসলাম সোহান, দুমকি, পটুয়াখালী থেকে: পটুয়াখালীর দুমকিতে করোনা সংক্রোমণ রোধে চলমান লকডাউনের চতুর্থ দিনে প্রশাসনিক অভিযান এড়িয়ে উপজেলা শহরের অধিকাংশ দোকান-পাট আংশিক খোলা রেখে বেচা-কেনা চলছে। রাস্তায় মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে। কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। পথচারীদের বেশীর ভাগই মুখে মাস্ক নেই। দু’চার জনের মাস্ক থাকলেও তা কারো হাতে বা থুথনিতে রেখে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। রোববার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলা শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পীরতলা বাজার, দুমকি নসিব সিনেমা চত্তর, দুমকি নতুন বাজার, মুরাদিয়া ইউনিয়নের বোর্ড অফিস বাজার, লেবুখালীর পাগলা বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রোববার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাহি মেজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: আল-ইমরান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়িটি থানা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছার পর দোকানীরা দ্রুত যার যার দোকানের সাঁটার টেনে দিয়ে বাইরে বেড় হয়ে যায়। মুহুর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারের অন্যান্য দোকান পাটও বন্ধ হয়ে যায়। মোবাইল কোর্ট চলে গেলে দোকানীরা ফের যার যার দোকানের দরজা ও ঝাপ আংশিক খোলা রেখে স্বাভাবিক বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে লকডাউন নিয়ে প্রশাসন-ব্যবসায়িদের লুকোচুড়ি খেলা চলছে। কেউ মানছে না সরকারি বিধিনিষেধ। অভিযানে দু’চারজনের জরিমানা করা হলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
এদিকে এ উপজেলায় দু’জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন জানান, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দুমকি সাকিনের বিমল (৪৫) কে তার নিজ বাসায় চিকিৎসা হচ্ছে, অপরজন বরিশালের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন ও বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে পালন না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সন্মুখীন হতে হবে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণের আহবান জানান।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শেখ আবদুল্লা সাদীদ বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানে আছি। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে, জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত