দুমকিতে কঠোর বিধিনিষেধ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মানবেতর জীবনযাপন
জুবায়ের ইসলাম সোহান, দুমকি, পটুয়াখালী থেকে: মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে এই লকডাউন জারি করেছে সরকার। জরুরী প্রয়োজন ব্যাতীত রাস্তায় চলাচল করলেই জরিমানা। এ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে দুমকির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।কেউ কেউ কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানের দরজা আংশিক খোলা রেখে বসে থাকে তীর্থের কাকের মতো। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই দোকান বন্ধ করে ফেলে।দোকান খোলা পেলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় জরিমানা।
দুমকির পীরতলা বাজারের চতুর্থ গলির চা দোকানি মনির হোসেন বলেন, আমার মাসে অনেক টাকা কিস্তি দিতে হয়, তারপর সংসার চালাতে হয় আমার ছোট একটি চায়ের দোকান লকডাউনে দোকানের কেচিগেট বন্ধ করে পেটের তাগিদে চা পান বিক্রি করছিলাম ইউএনও স্যার এসে দোকানে উঁকি মেরে ভিতরে লোক দেখে আমাকে ২শ টাকা জরিমানা করে।
দুমকির নুতন বাজার এলাকার এক চায়ের দোকানদারের সাথে কথা বলতে গেলে দোকানদার বলেন,’কি করবো ভাই?পেটে ভাত নাই।প্রশাসনের চোখের আড়ালে দোকান খুলি।১০০/২০০ টাকা বেচা কিনা হয়।তা দিয়েই কোনরকম চলি। এই কঠোর লকডাউনেও। কেউ কেউ রিক্সা অটো নিয়ে রাস্তায় বের হয় মুখে একরাশ কালো মেঘের ছাপ নিয়ে ঠায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন।প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই তারা দৌড়ে পালান।
প্রেসক্লাব এলাকার চা বিক্রেতা শ্রী রবি বলেন, ‘দিন আনি দিন খাই আমরা বুঝি করোনা মহামারী অনেক ভয়ংকর,সরকারের লকডাউন মেনে চলা উচিৎ।তবুও পেটের তাগিদে আমরা অসহায়।ঘরে বাজার নাই।স্ত্রী,আর দুই সন্তানরে নিয়া খুবই কষ্টে দিন কাটতে হয়। লকডাউনের কথা বলতেই এই সকল দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের চোখে–মুখে ফুটে ওঠে অসহায়ত্ব আর হতাশা।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত