হাসপাতালে পা রাখার জায়গা নেই, বাধ্য হয়ে গাছতলায় চিকিৎসা
করোনা সংতক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যশোরে। করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে ঠাঁই না মেলায় অনেকে হাসপাতালের বাইরে অবস্থান করছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগী ও এই রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৪ জন।
এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও আটজন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার (৭ জুলাই) ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর ছাড়াও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ষাটোর্ধ্ব রীনা বেগম। বাঘারপাড়ার বড়বাঘ গ্রাম থেকে স্বজনরা তাকে নিয়ে আসেন যশোর জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পা রাখার জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের সামনের রাস্তা সংলগ্ন গাছতলায় শুরু হয় তার চিকিৎসা। সেখানেই তাকে দেওয়া হয় অক্সিজেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীর চাপ সামলাতে ওয়ার্ডকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত রোগী নতুন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে বেড সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। বর্তমানে এ হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ১৪৬টি বেড আছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই ছাড়াও রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫৯টি সিলিন্ডার।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনায় ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জেলায় ১ হাজার ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭৩ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৩৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এই নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১৭০ জনের ও সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪০৮ জন। আর জেলায় করোনায় মোট মারা গেছেন ১৮৭ জন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত