যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেল বহন নিষিদ্ধ
সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে ১৫ জুলাই থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীবাহী লঞ্চে মোটরসাইকেল বহন নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান। লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে বিআইডব্লিটিএ থেকে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে লঞ্চ, ফেরি ও স্টিমারসহ জলযান চলাচল সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা শেষে এ তথ্য জানান নৌ-প্রতিমন্ত্রী। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেখুন বাস, ট্রেনের সিটে নম্বর দেয়া থাকে। লঞ্চের ক্ষেত্রে জটিল। কেবিনগুলো স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা যায়। ডেকের ক্ষেত্রে কষ্টকর হয়ে যায়।
কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা যায়, ডেকগুলোতে মার্কিং করা হয়। সুতরাং আমরা এবারও মার্কিং করেছি। ডেকগুলোকে মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। এছাড়া শতভাগ মাস্ক পরতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় থাকবে না।
কোনো লঞ্চ মালিক শিথিলতা দেখালে তাদের জরিমানার আওতায় আনা হবে বলে জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, লঞ্চ মালিকরা লঞ্চের স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করে লঞ্চে কাজ করতে দেবেন। নৌখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের জন্য টিকা দেয়া হয়েছে।
১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লঞ্চ চলবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, এটিও কিন্তু বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে গেলো। কারণ ২১ জুলাই ঈদ। ২৩ জুলাই থেকে ফের বন্ধ। যাত্রীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা আসবেন কি-না এবং ঢাকা থেকে বের হয়ে যাবেন কি-না। কারণ যাওয়া ও ফিরে আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই এটা চিন্তা করে সবাই যাত্রা করবে বলে আমি মনে করি।
আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। রোববার (১১ জুলাই) দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত