চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবি

| আপডেট :  ১৪ আগস্ট ২০২১, ১২:২১  | প্রকাশিত :  ১৪ আগস্ট ২০২১, ১২:২০

করোনা মহামারির কারণে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার বয়স ২১ মাস ছাড় দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে সরকার এটিকে বৈষম্যমূলক দাবি করে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করা না হলে ২১ আগস্টের পর লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলেও জানান বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে তানভির হোসেন, মারজিয়া মুন, মানিক রিপন, ও ওমর ফারুক আলাদাভাবে লিখিত বক্তব্যের অংশবিশেষ পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য করোনাকালীন ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে যা একটি শুভ ইঙ্গিত। তবে ব্যাকডেট দেওয়া বা বয়স সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল বয়সী চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। করোনা শুধু ৩০ বছর অতিক্রম করে যাওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদেরই ক্ষতি করেনি, বরং সকল বয়সীদের ক্ষতি করেছে। যে ছেলেমেয়েরা বিগত দেড় বছর ধরে অনার্স বা মাস্টার্স পর্যায়ে আটকে আছে তারাও সামনে ভুক্তভোগী হবে।

কেননা তারাও দুইটি বছর হারিয়ে ফেলেছেন যার কোন ক্ষতিপূরণ ব্যাকডেট প্রক্রিয়ায় হচ্ছেনা। অন্যদিকে ২১ মাস যে ব্যাকডেটের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে ১৭ মাস ইতোমধ্যেই পার হয়েছে। চাকরিতে আবেদনের বয়স স্থায়ীভাবে দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করলে সকলেই তাদের হারিয়ে যাওয়া সময় দুই বছর ফিরে পাবে। তারা আরও বলেন, ১৯৯১ সালে শেষবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ করা হয় যখন গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর। এখন গড় আয়ু ৭৩ বছর হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। ২০১১ সালে অবসরে যাওয়ার বয়স যেহেতু দুই বছর বাড়ানো হয়েছে সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করলে সেটাও আর সাংঘর্ষিক হয় না।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ‘ইশতেহারে উল্লিখিত’ প্রতিশ্রুতি ছিলো বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করোনা জীবনের যে সময় কেড়ে নিচ্ছে এর চেয়ে বড় বাস্তবতা আর কি হতে পারে! মুজিববর্ষের ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে উপহার হিসেবে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবিকে কেন্দ্র করে ‘চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের’ ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও এই দাবিতে ইতোমধ্যে তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব (জনপ্রশাসন), মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি খোলা চিঠি প্রদান করেছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত